একের পর এক বুথফেরত সমীক্ষা সামনে এসেছে। তাতে কার্যত টেনশন বেড়েছে তৃণমূলের। অধিকাংশ এক্সিট পোলের হিসাবে বলা হচ্ছে পিছিয়ে থাকবে তৃণমূল।
কিন্তু এতদিন ধরে যে তৃণমূলের সভায় একের পর এক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছিলেন নেতা নেত্রীরা। তবে কি চোরাস্রোত বুঝতে পারেনি তৃণমূল? তবে কি চোরাস্রোতেই তলিয়ে যেতে পারে তৃণমূল?
তবে এক্সিট পোলের হিসাব মানতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মমতা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই এক্সিট পোল ভুয়ো। আমরা এটা মানি না। এদিকে অভিষেক জানিয়েছেন, এক্সিট পোলের সব সমীক্ষা ভুল প্রমাণ করব।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ভুল নাকি ঠিক সেটা তো কালকেই বোঝা যাবে। কিন্তু বুথ ফেরত সমীক্ষা যদি মিলে যায় তবে কি হবে?
কী আছে সেই রিপোর্টে?
এদিকে ইতিমধ্য়েই কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধিতে সবরকম উদ্যোগ নিয়েছেন নেতৃত্ব। তৃণমূল ইতিমধ্যেই জেলা থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্য়ে যদি ফলাফল খুব খারাপও হয় তবে শাসকদল অন্তত ২৬ আসনে জিততে পারে। অর্থাৎ সেই রিপোর্ট যদি মানতে হয় তবে এবার ২০১৯ সালের থেকেও ভালো ফলাফল হবে। সেই সঙ্গেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হচ্ছে যে আরও ৬টি আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। এখানেই শেষ নয়। সেই লড়াইতেও অন্তত ৬টি আসনে জেতার ব্যাপারে আশাবাদী তৃণমূল।তবে জেলার রিপোর্ট যাই বলুক, তৃণমূলের অন্দরমহলে অবশ্য অন্য আলোচনা। জেলার পার্টি অফিসগুলিতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে একেবারে অন্য কথা। একাধিক পার্টি অফিসে নানা কানাঘুষো শুরু হয়ে যাচ্ছে। যদি বাস্তবেই মিলে যায় এক্সিট পোলের হিসাব সেক্ষেত্রে কী হবে সেটা ভেবেই গায়ে কাঁটা দিচ্ছে তৃণমূলের।
তবে ইতিমধ্য়েই একাধিক কেন্দ্রে গণনা পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। ইতিমধ্য়েই তাঁরা নির্দিষ্ট কেন্দ্রে চলে গিয়েছেন।
এবার তৃণমূলের অন্দরের রিপোর্টে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কারণ ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গ থেকেই বিরাট সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। কার্যত ধুয়ে মুছে গিয়েছিল তৃণমূল। তবে পরবর্তী সময় ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে দেখা গিয়েছিল যে বিরাট জয় পেয়েছে তৃণমূল। সেই আশায় ভর করে অন্তত জলপাইগুড়ি আসনটা জেতার আশা দেখছে তৃণমূল। কোচবিহার আসন নিয়ে মিশ্র রিপোর্ট। সব মিলিয়ে এক্সিট পোলের হিসাব কার্যত ওলটপালট করে দিয়েছে অনেকের ভাবনাকেই।