রাজ্যে ভোটপ্রচারে এসে বিজেপি নেতাদের বাড়িতে পুলিশি হানা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার ভূপতিনগরে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর সমর্থনে জনসভা থেকে মমতাকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, মমতা দিদি শুভেন্দুজির ওপর যত অত্যাচার করবে ভারতীয় জনতা পার্টি শুভেন্দুজিকে তত বড় নেতা বানাবে।
আরও পড়ুন: যখন তখন হামলা হতে পারে, আশ্রম ও স্কুলে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চাইলেন কার্তিক মহারাজ
পড়তে থাকুন: রাবণের রাজত্বে সাধুদের ওপর তো হামলা হবেই: সুকান্ত মজুমদার
এদিন শাহ বলেন, ‘মমতা দিদি এখন হারের ভয়ে কাঁপছেন। কাল আমি কলকাতায় অবতরণ করতেই আমাদের শুভেন্দুদার বাড়িতে পুলিশ হানা দিল। মমতা দিদি, আমরা বিজেপি করি, আপনার পুলিশকে ভয় পাই না। আপনার মন্ত্রীদের বাড়িতে তল্লাশিতে ৫১ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল। আর শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে তল্লাশি হল, চার আনা পয়সা বার করতে পারেনি।’
শাহের হুঙ্কার, ‘আমরা ভয় পাই না। আমি আজ কাঁথিতে বলে যাচ্ছি, পুলিশের অপব্যবহার বন্ধ করো। নইলে বাংলার মানুষ ২টো ৪টে আসন দিত সেগুলোও হাতছাড়া হবে। আমি এখানে বলে যাচ্ছি, মমতা দিদি শুভেন্দুর ওপরে যত অত্যাচার চালাবে বিজেপি শুভেন্দুজিকে তত বড় নেতা বানাবে।’
মঙ্গলবার বিকেল থেকে মেদিনীপুর জুড়ে বিজেপি নেতাদের বাড়িতে শুরু হয় পুলিশি হানা। প্রথমে কোলাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়া বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ। তার পর একে একে ঘাটাল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের এজেন্টসহ একের পর এক বিজেপি নেতার বাড়িতে তাণ্ডব চালান পুলিশকর্মীরা। মেদিনীপুর শহরের বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতিকে গভীর রাতে বাড়ির দরজা ভেঙে গ্রেফতার করার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ প্রকাশের ২৪ ঘণ্টা পরেও রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা নিয়ে কিছু জানেনই না মমতা
২৫ মে মেদিনীপুরে ভোটগ্রহণ। তার আগে বিরোধীদের প্রচারে বাধা দিতে পুলিশকে ব্যবহার করে তৃণমূল বিজেপি নেতাদের ভয় দেখাতে চাইছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। ওদিকে তৃণমূলের দাবি, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করছে পুলিশ। ওদিকে পুলিশের দাবি, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে।