উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের পরে এবার আজমগড়। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের সভা ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হল। কেউ প্যান্ডেলের উপরে উঠে পড়লেন, কেউ আবার পুলিশকে লক্ষ্য করে জুতো-চেয়ার ছুড়লেন। কার্যত ভিড়ের মধ্যে দর্শকদের হুড়োহুড়ি পড়ে যায় নির্বাচনী প্রচারের মাঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এনিয়ে টানা তৃতীয় দিনও বিশৃঙ্খলার জেরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভা ব্যাহত হল।
আরও পড়ুন: যোগী-রাজ্যে বুথের বাইরে এসপি-বিজেপি সংঘর্ষ, আহত কয়েকজন
মঙ্গলবার লালগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের সারাই মীরে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী দারোগা প্রসাদের সমর্থনে একটি জনসভা করেন অখিলেশ যাদব। প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের প্রতিটি জনসভায় বেশ ভালোই ভিড় হচ্ছে। এদিনের জনসভাতেও উপচে পড়া ভিড় হয়েছিল। প্রথমে পরিস্থিতি ঠিকঠাক থাকলেও তারপরে সামনের দিকে বসে থাকা কর্মী সমর্থকদের মধ্যে অশান্তি বাঁধে। দ্রুত সেই অশান্তি আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে গোটা জনসভায়।
এদিকে, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে দেখে মঞ্চে থেকেই বারবার মাইকে করে কর্মী সমর্থকদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু, কর্মীদের অশান্তির জেরে এক সময় জনসভায় থাকা মাইকও ভেঙে পড়ে। তারপরেই কার্যত খন্ড যুদ্ধের আকার নেই অশান্তি। পুলিশকে লক্ষ্য করে চেয়ার জুতো ছোড়ার পাশাপাশি ধাক্কাধাক্কি করে অনেকেই। তখন বাধ্য হয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরে। এদিনের অশান্তির জেরে সামনের ব্যারিকেড ভেঙে যায়। মঞ্চের একেবারে সামনে চলে আসে মানুষের ভিড়। এ দিনের ঘটনায় শতাধিক কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন।
এর আগে রবিবার প্রয়াগরাজে ইন্ডিয়া জোটের জনসভায় গিয়ে একইরকম পরিস্থিতির মুখে পড়েন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও অখিলেশ যাদব। দুই নেতার হেলিকপ্টার মঞ্চের কাছে পৌঁছতেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি। ব্যারিকেড ভেঙে সামনের দিকে আসার চেষ্টা করেন কর্মী সমর্থকরা।
এরপর সোমবার সন্ত কবির নগরে যাদবের আরও একটি নির্বাচনী সমাবেশে বিপুল সংখ্যক দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা ভিড় করেন। তারা ব্যারিকেডের উপর উঠে পড়েন। অনেকেই ব্যারিকেড ভেঙে অখিলেশের কাছে পৌঁছে গিয়ে ছবি ।তোলেন। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ভিড়ের প্রসঙ্গে অখিলেশ বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ‘আমি শুনেছি যে মানুষ প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলির জনসভায় যাচ্ছে না। তারা ভিড় দেখাতে পুলিশকেই সাধারণ পোশাকে বসিয়ে দিচ্ছে।’