আধুনিক টি-২০ ক্রিকেটে এক এভারে চারটি ছক্কা হামেশাই দেখতে পাওয়া যায়। এমনকি ওয়ান ডে ও টি-২০ ফর্ম্য়াটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছয় বলে ছ'টি ছক্কা মারার নজিরও রয়েছে একাধিক। তবে ওয়ান ডে ক্রিকেটে একজন বিশেষজ্ঞ বোলার ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালালে তা ক্রিকেটপ্রেমীদের মনোরঞ্জনের বাড়তি উপকরণ হয়ে দাঁড়ায় সন্দেহ নেই।
২০০০ সালের ৮ ডিসেম্বর, অর্থাৎ ২৩ বছর আগে ঠিক এই দিনটিতেই ভারতীয় সমর্থকদের এমন উপভোগ্য মুহূর্ত উপহার দেন জাহির খান। টিম ইন্ডিয়ার তারকা পেসার জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ম্যাচের শেষ ওভারে হেনরি ওলঙ্গার বলে পরপর ৪টি ছক্কা হাঁকান।
কী ঘটেছিল ভারত বনাম জিম্বাবোয়ের সেই ম্যাচে:-
২০০০ সালের ৮ ডিসেম্বর যোধপুরে ভারত-জিম্বাবোয়ে সিরিজের তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। টস জিতে ভারত শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। সচিন তেন্ডুলকরের একক লড়াইয়ে ভর করে ভারতীয় দল ৪৯ ওভারে আড়াইশো রানের গণ্ডি টপকে যায়। শেষ ওভারে বল করতে আসেন জিম্বাবোয়ের পেসার হেনরি ওলঙ্গা। তাঁর ওভারে ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালান জাহির খান।
ওলঙ্গার শেষ ওভারের প্রথম ২টি বলে ২টি সিঙ্গল নেন যথাক্রমে জাহির খান ও অজিত আগরকর। তার পরেই পরপর চারটি ছক্কা হাঁকান জাহির। ভারত শেষমেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২৮৩ রান সংগ্রহ করে। জাহির মাত্র ১১ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। এটি তাঁর ওয়ান ডে কেরিয়ারের তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। উল্লেখ্য, জাহির আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে আর কখনও একটি ইনিংসে ৪টি ছক্কা মারেননি।
সচিন তেন্ডুলকর সেই ম্যাচে ১৪৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ১৫৩ বলের ইনিংসে তিনি ১৫টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। এছাড়া রাহুল দ্রাবিড় ৩০ রানের যোগদান রাখেন। জাহির খান ছিলেন সেই ম্যাচে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। ওলঙ্গা ৪ ওভার বল করে ৫২ রান খরচ করেন। কোনও উইকেট পাননি তিনি।
যদিও ভারত শেষমেশ সেই ম্যাচ হেরে বসে। জিম্বাবোয়ে ৪৯.৫ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৮৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেয় জিম্বাবোয়ে। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ৭৭ ও গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার ৭০ রান করেন। প্রসাদ ৩টি ও জাহির ১টি উইকেট দখল করেন।