বাংলা নিউজ > ক্রিকেট > WPL 2024: ঘণ্টায় ১৩২.১ কিমি গতিতে বল, বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন MI-এর প্রোটিয়া পেসার, ভাঙলেন পেরির নজির
পরবর্তী খবর
WPL 2024: ঘণ্টায় ১৩২.১ কিমি গতিতে বল, বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন MI-এর প্রোটিয়া পেসার, ভাঙলেন পেরির নজির
2 মিনিটে পড়ুন Updated: 06 Mar 2024, 09:05 AM ISTTania Roy
প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার শাবনিম ইসমাইল দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচে মহিলা প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে দ্রুততম ডেলিভারির রেকর্ড গড়েছেন। ভেঙে দিয়েছেন বিশ্বরেকর্ডও। শাবনিম ইসমাইল প্রথম ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ঘণ্টায় ১৩২.১ কিমি বেগে একটি বল করেন। মহিলা ক্রিকেটের ইতিহাসে যা বিশ্ব রেকর্ড।
বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন শাবনিম ইসমাইল।
হরমনপ্রীত কাউর চোট সারিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে একাদশে ফিরেছিলেন। কিন্তু অধিনায়কের উপস্থিতিতেই হারতে হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। মঙ্গলবার মেগ ল্যানিংয়ের দলের বিরুদ্ধে ২৯ রানে হারল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ২০২৪ মহিলা প্রিমিয়ার লিগে রান তাড়া করতে নেমে এই প্রথম বার হারল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
তবে মুম্বই হারলেও, বড় নজির গড়লেন তাদের দলের তারকা ফাস্টবোলার শাবনিম ইসমাইল। প্রোটিয়া এই বোলার দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচে মহিলা প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে দ্রুততম ডেলিভারির রেকর্ড গড়েছেন। ভেঙে দিয়েছেন বিশ্বরেকর্ডও। শাবনিম ইসমাইল প্রথম ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ঘণ্টায় ১৩২.১ কিমি বেগে একটি বল করেন। যে বলটি মেগ ল্যানিংকে প্যাডে এসে লাগে। এলবিডব্লিউের আবেদন করা হয়েছিল মুম্বইয়ের তরফে। তবে মেগকে নট আউট দেওয়া হয়। কিন্তু মহিলা ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি দ্রুততম বল।
তবে বল হাতে শাবনিম ইসমাইল এদিন মোটেও ছন্দে ছিলেন না। তিনি মাত্র চার ওভার বল করে ৪৬ রান দেন এবং একটি উইকেটই নেন। এর আগে, আরসিবি এবং ডব্লিউপিএল দাবি করেছিল যে, মহিলাদের ক্রিকেটে দ্রুততম বলের বিশ্ব রেকর্ড ছিল এলিস পেরির। আরসিবি বলেছে যে, পেরি গত বছর ডব্লিউপিএলে প্রতি ঘণ্টায় ১৩০.৫ কিমি গতিতে একটি বল করেছিলেন, যেটা মহিলা ক্রিকেটে দ্রুততম বল হয়ে উঠেছিল।
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। দুই ওপেনার মেগ ল্যানিং এবং শেফালি বর্মা মিলে শুরু থেকেই ভালো ছন্দেই ছিলেন। ৪.৩ ওভারে ৪৮ রানও করে ফেলে দিল্লি। ১২ বলে ঝোড়ো ২৮ করে অবশ্য আউট হয়ে যান শেফালি। তাঁর সংক্ষিপ্ত ইনিংসে ছিল ৩টি চার এবং দু'টি ছক্কা। শেফালি আউট হলেও মেগ হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন। এছাড়াও জেমিমা রডরিগেস এদিন অপরাজিত ৬৯ রানের একটি দুরন্ত ইনিংস খেলেন।
শেফালি আউট হওয়ার পর তিনে নেমেছিলেন এলিস ক্যাপসি। তিনি ১৯ (২০) করে আউট হয়ে যান। তবে জেমিমা হাল ধরেন। মেগ ল্যানিংও ৬টি চার এবং দু'টি ছক্কার হাত ধরে ৩৮ বলে ৫৩ রান করেন। আর জেমিমা ঝড় তুলে ৩৩ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৮টি চার এবং তিনটি ছক্কায়। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান করে দিল্লি ক্যাপিটালস।