শুভব্রত মুখার্জি: শনিবার হাইভোল্টেজ ম্যাচে আমদাবাদে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তান। এই ম্যাচকে ঘিরে উত্তেজনা, উন্মাদনার কোনও কমতি ছিল না। ম্যাচে পাকিস্তান দল প্রথমে ব্যাট করে। একটা সময়ে তাদের স্কোর ছিল ১৫৫ রানে দুই উইকেট। সেখান থেকে নাটকীয় ভাবে ধ্বস নামে তাদের ইনিংসে। মাত্র ১৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। ভারত মাত্র ৩০.৩ ওভারে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে সেই রান তুলে নেয়। এই জয়ের ফলে ওডিআই বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারত ৮-০ এগিয়ে যায় পাকিস্তানের থেকে। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে এর পরেই মিকি আর্থার বলে বসেন, বিশ্বকাপের ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ তাঁর কাছে আইসিসির ইভেন্টের থেকে বেশি বিসিসিআই ইভেন্ট বলেই মনে হয়েছে। আর এই কথা শোনার পরেই পাকিস্তান ক্রিকেটের কিংবদন্তি ওয়াসিম আক্রম রীতিমতো কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন মিকি আর্থারের দিকে। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘যে কাজের জন্য তোমাকে নিয়োগ করা হয়েছে, তা নিয়ে কথা বলো। আলতু ফালতু বিষয় নিয়ে কথা বলা কাজ না।’
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এ স্পোর্টসে ম্যাচের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ওয়াসিম আক্রাম। তাঁর মতে, এই পরাজয় থেকে পালানোর চেষ্টা করছে মিকি আর্থাররা। যা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। মিকি আর্থারকে নিয়ে বলতে গিয়ে ওয়াসিম বলেন, ‘কুলদীপের বিরুদ্ধে কী পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তান দলের? আমরা সেই সব কথা শুনতে চাই। এই ধরনের আলতু ফালতু (বিসিসিআইয়ের ইভেন্ট) কথা নয়। এই ধরনের কথা বলে এত বড় পরাজয় থেকে দূরে পালানো যাবে না।’
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন পাকিস্তানি কিপার ব্যাটার মইন খানও। তাঁর মতে, ‘মিকি আর্থার পুরো ফোকাসটাই ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের মানুষ এই হারে অত্যন্ত হতাশ। তার পরে এই ধরনের ইমোশনাল কথাবার্তা বলার কী মানে? যে বিষয়টির জন্য নিয়োগ (পাক দলের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট মিকি আর্থার) করা হয়েছে, সেই বিষয়ে কথা বলা উচিত। আমি বুঝতে পারছি, এটা আইসিসির ইভেন্ট। তবে কোচ হিসাবে তোমার কী এই সব কথা বলা মানায়? তোমার একেবারেই এই সব কথা বলা উচিত নয়।’
পাশাপাশি এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন আর এক প্রাক্তন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিকও। তাঁর মতে, ‘আমাদের উচিত ভারতকে কটাক্ষ না করে তাদের প্রশংসা করা। তাদের থেকে শেখা উচিত আমাদের।’ তাঁর দাবি, ‘পাকিস্তানে যখন ইভেন্ট হয়, তখন পাকিস্তানেরও জাতীয় দলের জন্য এমন পরিবেশ তৈরি করা উচিত। এই ঘটনায় ভারতকে কটাক্ষ করার কোনও কারণ আমি দেখি না। আমাদের বরং ওদের প্রশংসা করা উচিত। ওদের থেকে শেখা উচিত। কী ভাবে ঘরোয়া পরিবেশকে নিজেদের সুবিধার্থে ব্যবহার করা যায়, তা দেখা উচিত।’