এবারের বিশ্বকাপে একেবারে শোচনীয় অবস্থা ইংল্যান্ডের। চারটি ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জিতেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। সেখানে সেমিফাইনালের দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে একাধিক দল। বিশ্বকাপের শেষ চারে ওঠার সম্ভাবনা বেশ কম ইংল্যান্ডের। সেটা স্বীকার করে নিচ্ছেন ইংল্যান্ডের সহ-অধিনায়ক মইন আলি। তবে তিনি এটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন যে নিজেরা ছিটকে গেলেও অন্য দলগুলির যাত্রাভঙ্গ করতে কোনও কসুর করবে না ইংল্যান্ড। কারণ ভীতু ক্রিকেট খেলে অনুশোচনা হওয়ার থেকে উত্তেজক ক্রিকেট খেলে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া ঢের ভালো।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ‘ডু-অর-ডাই’ ম্যাচের আগে ইংল্যান্ডের সহ-অধিনায়ক বলেন, 'যখন বাইরে থেকে (আমাদের দলের দিকে) দেখবেন, তখন মনে হবে যে সেই একটা ব্যাপার উধাও হয়ে গিয়েছে। ওই বিষয়টার অভাব দেখা গিয়েছে। যখন ওরা (বিপক্ষের) বোলারদের পেটানোর বিষয়টা উপভোগ করত এবং ব্যাট করতে যেতে উপভোগ করত। সবসময় পরিস্থিতি সোজা ছিল না। কিন্তু তাও আমার মতে, দিনের শেষে এটা ক্রিকেট খেলা। আমার মতে, আমরা বড্ড বেশি গুরুত্ব সহকারে বিষয়টা নিচ্ছি।'
এমনিতে গত চার বছরে একাধিক এরকম পরিস্থিতির মুখে পড়েছে ইংল্যান্ড। ২০১৯ সালের একদিনের বিশ্বকাপ এবং ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও একটা সময় প্রবল চাপে ছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তবে এবার যে কাজটা আরও কঠিন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন মইন। আর সেজন্য আরও বেশি করে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের সহ-অধিনায়ক বলেন, 'এটা ক্রিকেট খেলা। আপনি যদি কোনও ভুল করে থাকেন, সেটা আপনি নিজে যে কাজে ভালো, সেটার মাধ্যমেও করতে পারেন। আমরা এমনিতেও ভুল করছি। তাই মুখে হাসি নিয়ে করা উচিত। আমার মতে, দল হিসেবে আমরা বড্ড বেশি গুরুত্ব সহকারে বিষয়টা বিবেচনা করে নিচ্ছি।'
সেইসঙ্গে মইন বলেন, ‘আমরা যেভাবে খেলছি, সেভাবে খেলার কোনও মানে হয় না। তাহলে (আমরা) ছিটকে যাব এবং বাড়ি ফিরে অনুশোচনা হবে। আমি বরাবর বিশ্বাস করে এসেছি এবং এখনও বিশ্বাস করি যে আমরা যেমনভাবে খেলি, সেরকম খেললে অধিকাংশ দলকে আমরা হারিয়ে দেব। তাই সর্বস্ব দিয়ে নিদেনপক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। যদি আমরা ছিটকেও যাই, সেটা বিনোদনমূলক হবে। সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা মোটেও ওরকমভাবে (এখন যেরকম খেলছে ইংল্যান্ড) খেলি না।’