শুভব্রত মুখার্জি: চলতি ওডিআই বিশ্বকাপ চলাকালীন ক্রিকেটের বাইরে যে জিনিসটি সকলের নজরে এসেছে তা হল ভারতের দুই শহর মুম্বই এবং দিল্লির অত্যধিক বায়ুদূষণ। দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দলগুলোকে। ইংল্যান্ডের জো রুট তো শ্বাসকষ্টে ভুগেছিলেন, মুম্বইতে সে কথা তিনি আগেই জানিয়েছিল দল। বেন স্টোকসকে ওয়াংখেড়েতে অনুশীলনের মাঝেই ইনহেলার নিতে দেখা গিয়েছিল। এমন আবহে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার নামার আগে এই বায়ুদূষণ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। মুম্বইতে আসার সময়ে নিজের প্লেনের জানলা থেকে শহরের দূষণের একটি ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন রোহিত শর্মা। আর শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন। রোহিতের স্পষ্ট বক্তব্য আমার, আপনার শিশুরা তথা ভবিষ্যত প্রজন্ম অনেক ভালো কিছু পাওয়ার যোগ্য। ওদের অনেক বেশি ভালো পরিবেশ পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
মুম্বই এবং দিল্লির বায়ুদূষণ এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে বিষয়টি নিয়ে আসরে নামতে বাধ্য হয়েছেন বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি জয় শাহও। তিনি আইসিসিকে অনুরোধ করেন যাতে মুম্বই এবং দিল্লিতে ম্যাচ শেষে বা ম্যাচের মাঝে আতশবাজির রোশনাই না করা হয়। এতে বায়ুদূষণ বাড়তে পারে বলে তিনি মনে করেন। আইসিসি সেই অনুরোধে সাড়াও দিয়েছে। ফলে একটি সেমিফাইনাল সহ মোট চারটি ম্যাচে আতশবাজি ফাটানো হবে না তা নিশ্চিত করে দিয়েছে আইসিসিও। ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগেও তাই স্বাভাবিকভাবেই দূষণের বিষয়টি একেবারে সামনে চলে এসেছে।
প্রসঙ্গত ভারত টু্র্নামেন্টে ছয় ম্যাচে ছয়টি জয় পেয়েছে। শ্রীলঙ্কা পেয়েছে ছয় ম্যাচের দুটিতে জয়। ফলে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে জিততেই হবে লঙ্কানদের। এমন আবহে ম্যাচের আগের দিন সবকিছুকে ছাপিয়ে সামনে উঠে এসেছে মুম্বইয়ের বায়ু দূষণ। রোহিত শর্মা জানিয়েছেন, ‘আদর্শ পৃথিবীতে আমরা কখনই এই ধরনের পরিবেশকে (দূষিত) চাই না। আমি নিশ্চিত এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মানুষজন নিশ্চয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন যাতে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে। এটা একেবারেই আদর্শ পরিবেশ নয় এবং এটা সকলেই জানে। আমাদের কিন্তু ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভাবতে হবে। ওদের ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে হবে। আপনার সন্তান, আমার সন্তান যাতে ভালো ভবিষ্যত পায় তার দিকে নজর দিতে হবে। তাই এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে আমাদের সন্তানরা যাতে ভয়ডরহীনভাবে বাঁচতে পারে তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।ক্রিকেটের বাইরে যখন আমি কথাবলার সুযোগ পাই, যখন আমি ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করি না তখন আমি এই বিষয়টি নিয়েই (আদর্শ পৃথিবী) সবসময়ে কথা বলি। আমাদেরকে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রতি দেখভাল করতেই হবে।’