বোর্ডের সচিব আর কোষাধ্যক্ষ পদে উপনির্বাচন। সেখানে অংশ নিতে পারবে না বাংলার সর্বোচ্চ ক্রিকেট সংস্থা সিএবি। শুক্রবার নির্বাচনী অফিসার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছেন। সেই তালিকায় নেই সিএবির নেই। এরপরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। ১২ তারিখ বোর্ডের বিশেষ সাধারণ সভা। ওই সভাতেও সিএবি যদি কোনও ভাবে অংশও নেয়, সেখানেও তাদের কোনও ভূমিকা থাকবে না। সিএবি-কে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে হবে। কিন্তু কেন এমন হল?
আসলে বোর্ডের সচিব আর কোষাধ্যক্ষ পদে উপনির্বাচনের জন্য আগেই নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগ করা হয়েছিল। তিনি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিলেন যে ২৭ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে সমস্ত অ্যাসোসিয়েশনকে তাদের প্রতিনিধিদের নাম অনলাইনে পাঠাতে হবে। সিএবি নাম পাঠাতেই ভুলে যায়।
আরও পড়ুন… এটা বেদনাদায়ক, তবে দলের স্বার্থে… চোট পাওয়ার পরেও মাঠ না ছাড়ার কারণ জানালেন পন্ত
পরের দিন সকালে ২৮ তারিখ নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে ইমেল করে সিএবি। কিন্তু ইলেকটোরাল ড্রাফটে তা গৃহীত হয়নি। এদিকে প্রশ্ন উঠছে বাকি ৩৪ টি সংস্থা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন জানালেও, সিএবি কেন পারল না? সমালোচকরা বলছেন এটা বাংলার ক্রিকেটের লজ্জা। কলঙ্কিত অধ্যায়।
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: স্নিকোর সিদ্ধান্ত সব সময়… ওয়াশিংটনের আউটের পরে প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন বুমরাহ
নির্বাচনী অফিসার একে জ্যোতি বলেছিলেন, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ম মেনে হবে। নিয়ম যদি কেউ না মানে, সেটা সেই সংস্থার দোষ। সিএবি আবেদন করলেও তা গৃহীত হবে না।’ এর প্রত্যুত্তরে স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় গত রবিবার জানিয়েছিলেন যে, ‘এটা আমাদের ভুল। সংস্থার ভুল। তবে আগামীকাল (অর্থাৎ ৩০ তারিখ) আমরা হার্ড কপি পাঠিয়ে দেব। বোর্ডে হার্ড কপি জমা দেওয়ার ডেডলাইন ৩০ তারিখ।’ এরপর বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলে সিএবি। ভাবা হয়েছিল, সিএবির আবেদনের বিষয়টি হয়তো বোর্ডের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে গৃহীত হতে পারে।
আরও পড়ুন… পারফর্ম না করার জন্য বেতন নেননি, অধিনায়ক গম্ভীর নিজেকেই দল থেকে ছেঁটে ফেলেছিলেন
ইলেকটোরাল ড্রাফটে সিএবির আবেদন অফিসার গ্রহণ করেননি। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের নামই আবেদন করা হয়েছিল। তাও খারিজ করে দেওয়া হয়। ফলে বোর্ডের উপনির্বাচনে সিএবি লড়তে পারবে না। আবার ভোট দিতেও পারবে না সিএবি। বাংলার ক্রিকেট সংস্থা থেকে কেউ চাইলেও এই নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন না। এমনকি সিএবির কেউ ভোট দিতেও পারবেন না।