দল গোহারান হারল। তবে তাতে বিন্দুমাত্র হতাশা চোখে পড়েনি ক্যাপ্টেনের। বরং অধিনায়ক ব্যস্ত নিজেকে জাহির করতে। রায়পুরে রঞ্জি ট্রফির এলিট-বি গ্রুপের ম্যাচে চোখে পড়ে এমনই ঘটনা। ছত্তিশগড়ের কাছে ১০ উইকেটে পরাজিত হয়ে প্রতিপক্ষকে বোনাস পয়েন্টও উপহার দেয় অসম। তবে ক্যাপ্টেন রিয়ান পরাগ রঞ্জির ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম শতরান করে সেলিব্রেশনের সময় নিজেকে বাকিদের থেকে উঁচু লেভেলের বলে ইঙ্গিত করেন।
রায়পুরে ছত্তিশগড়ের ৩২৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে অসম তাদের প্রথম ইমিংসে মাত্র ১৫৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। রিয়ান পরাগ প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮ রান করে আউট হন। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৬৮ রানে পিছিয়ে থেকে অসম ফলো-অন করতে বাধ্য হয়।
ফলো-অনের লজ্জা মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও স্বস্তিতে ছিল না অসম। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় ২৫৪ রানে। সুতরাং, জয়ের জন্য ছত্তিশগড়ের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় মোটে ৮৭ রানের, যা তারা কোনও উইকেট না হারিয়েই সংগ্রহ করে নেয় এবং ১০ উইকেটে ম্যাচ জেতে।
রঞ্জিতে ১০ উইকেটে ম্যাচ হারা আর ইনিংসে পরাজিত হওয়া কার্যত একই রকম হতাশার বিষয়। কেননা দু'টি ক্ষেত্রেই প্রতিপক্ষ দল ৬-এর বদলে ৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে।
একে তো ফলো-অনের লজ্জা, তার উপরে ১০ উইকেটের গোহারান হার। অসমের এমন হতাশাজনক ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে রিয়ান পরাগ ধ্বংসাত্মক সেঞ্চুরি করেন। তিনি মাত্র ৫৬ বলে ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকে যান। রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম শতরানের সর্বকালীন রেকর্ড। রঞ্জিতে সব থেকে কম বলে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড রয়েছে ঋষভ পন্তের দখলে। তিনি ২০১৬ সালে দিল্লর হয়ে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ৪৮ বলে শতরান করেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রিয়ান শতরানে পৌঁছনোর পরে সেই একই রকম সেলিব্রেশন সারেন, যা নিয়ে কিছুদিন আগেই বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। তিনি ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন যে, বাকিদের থেকে তাঁর লেভেল অনেক উঁচুতে।
রিয়ান দ্বিতীয় ইনিংসে শেষমেশ ১৫৫ রান করে আউট হন। ৮৭ বলের ধ্বংসাত্মক ইনিংসে তিনি ১১টি চার ও ১২টি ছক্কা মারেন। এই সুবাদেই রঞ্জির ইতিহাসে একটি সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে ফেলেন পরাগ। রিয়ান ১৫০ রান পূর্ণ করেন মাত্র ৮৩ বলে। যে থেকে রঞ্জি ট্রফির রেকর্ড নথিবদ্ধ রয়েছে, এত কম বলে ব্যক্তিগত ১৫০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি আর কেউই। অর্থাৎ, রঞ্জির ইতিহাসে দ্রুততম ১৫০ রান করেন রিয়ান।