সেই ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের মতো অনুভূতি, সেই একইরকম উচ্ছ্বাস। ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যেভাবে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে, তা ফ্যানদের দেড় বছর আগের দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। আর সেই নস্টালজিয়ার মধ্যেই পাকিস্তান ম্যাচে সেরা ফিল্ডারের মেডেল পেলেন অক্ষর প্যাটেল। একেবারে ব্লকবাস্টার কায়দায় তাঁকে মেডেল পরিয়ে দেন ‘মিস্টার আইসিসি’ শিখর ধাওয়ান। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ধারাভাষ্যের জন্য দুবাইয়েই আছেন ভারতের প্রাক্তন তারকা। মহারণের পরে সেরা ফিল্ডারের মেডেল দিতে তাঁকেই ডেকে দেওয়া হয়। আর তিনি যখন বিজয়ী হিসেবে অক্ষরের নাম ঘোষণা করেন, তখন উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে পুরো ভারতীয় ড্রেসিংরুম।
‘ইইই’ করে হাসতে হবে সবসময়, ফিল্ডিং কোচের সঙ্গে মজা রোহিতের
যে আবহ প্রথম থেকেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেরা ফিল্ডারের নাম ঘোষণা করার আগে ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপের সঙ্গে মজা করেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি বলেন যে সবসময় এরকম হাসিমুখে থাকতে হবে। ‘ইইই’ করে দেখিয়ে দেন। স্পষ্টভাবে বলেন যে ওরকম মুখ গম্ভীর করে, রেগে-রেগে থাকলে চলবে না। যে কথা শুনে হাসতে থাকেন ভারতীয় ফিল্ডিং কোচ।
মুখের উপরে জাদেজাকে ‘অপমান’ হার্দিকের
তারইমধ্যে সেরা ফিল্ডারকে বেছে নিতে ভারতের ফিল্ডিং কোচ নমিনেশনের তালিকায় তিনজনের নাম ঘোষণা করেন। প্রথমেই ঘোষণা করা হয় রবীন্দ্র জাদেজার নাম। আর সেটা শুনেই হাসতে থাকেন ভারতের তারকা ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘কাট ডালো মুঝে।’ অর্থাৎ অক্ষর যেরকম রান-আউট করেছেন এবং ক্যাচ নিয়েছেন, তাতে তাঁর মেডেল জয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই বুঝেই নমিনেশন তালিকা থেকে নিজের নাম কেটে দিতে বলেন। আর জাদেজার সেই ‘কষ্ট’ বাড়িয়ে তোলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি জাদেজাকে জড়িয়ে ধরেন। আর বলেন, ‘এ জিতবে না আজ।’
তারপর অক্ষর প্যাটেল এবং শুভমন গিলের নাম ঘোষণা করেন ভারতের ফিল্ডিং কোচ। শেষপর্যন্ত অক্ষরের গলায় যে মেডেল উঠবে, তা নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ ছিল না। কিন্তু কী কায়দায় মেডেল দেওয়া হবে, সেটা নিয়েই যাবতীয় কানাঘুষো চলছিল। তাতে প্রাথমিকভাবে ইতি টেনে ভারতের ফিল্ডিং কোচ জানান, জয়ীর নাম ঘোষণা করতে আসছেন একজন।
‘ইয়ে কোন হ্যা ভাই?' ধাওয়ান আসার আগে বিরাট-রোহিতের প্রশ্ন
কে আসছেন, সেটা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়ে যায়। উন্মুখ হয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে বিরাট কোহলি হাসিমুখে বলতে থাকেন, ‘ইয়ে কোন হ্যা (কে আসছে ভাই)?’ রোহিতও একইসুরে বলতে থাকেন, ‘ইয়ে কোন হ্যা ভাই?' আর তারপর দেখা যায় যে ধাওয়ান এগিয়ে আসছেন।