দক্ষিণ আফ্রিকা 'এ'র বিরুদ্ধে বেসরকারি টেস্ট ম্যাচে হঠাৎ কামব্যাক করল ভারতীয় 'এ' দল। তৃতীয় দিনের শুরুতেই দ্রুত গুড়িয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং অর্ডারকে। জবাবে লিড নিতে নেমে, তৃতীয় দিনের শেষে ৫৮ রানে এগিয়ে গেল তারা। দিনের শুরুতেই আক্রমণাত্মক বোলিং করতে শুরু করে ভারতের তরুণ বোলাররা। ২১ রানের মাথায় বাকি পাঁচটি উইকেট ফেলে দেয় তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে লিড নিতে নেমে, দাপুটে ব্যাটিং আসে তাঁদের থেকে। এই দিনের নায়ক প্রসিধ কৃষ্ণ এবং প্রদোশ রঞ্জন পাল।
'দক্ষিণ আফ্রিকা 'এ' দ্বিতীয় দিনের শেষে পাঁচ উইকেটে ২৯৮ রান তোলে। ক্রিজে অপরাজিত থাকেন জিন ডু প্লেসি ১০৩ রানে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পেরেছিলেন একমাত্র সৌরভ কুমার। তবে তৃতীয় দিনে একেবারেই ঘুরে গেল ম্যাচের মোড়। হঠাৎ ঘুরে দাঁড়ালো টিম ইন্ডিয়ার তরুণ ক্রিকেটাররা। পিছিয়ে পড়া দল হঠাৎ করে এগিয়ে গেল ৫৮ রানে। সৌজন্যে প্রসিধ কৃষ্ণার বিধ্বংসী বোলিং এবং প্রদোশ রঞ্জন পালের ধৈর্যশীল ইনিংস। তৃতীয় দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২১ রান যোগ করতে পারে প্রোটিয়া বাহিনী। ৩১৯ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। এদিন সবকটি উইকেট নেন টিম ইন্ডিয়ার তরুণ পেসার প্রসিধ কৃষ্ণা। এদিন ১৯ ওভার বল করে ৪৩ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন ৫ উইকেট।
জবাবে লিড নেওয়ার লক্ষ্যে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি ভারতের। ২১ রানের মাথায় প্রথম উইকেটটি হারায় তারা। এরপর যদিও একটি ছোট পার্টনারশিপ গড়েন দেবদূত পাডিক্কাল ও প্রদোশ রঞ্জন পাল। তবে ৭১ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেটটি হারায় ভারত। এরপর সরফরাজ খানকে নিয়ে আরও একটি লম্বা পার্টনারশিপ করেন প্রদোশ। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে ১৩০ রানের পার্টনারশিপ দাঁড়ায়। এরপর ৬৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সরফরাজ খান। একটা সময় পরপর উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে যায় ভারতীয় এ দল।
তবে ফের দলকে ভরসা দেন তারকা অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুর। তিনি অপরাজিত ৭০ রান করেন। শার্দুলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে। দিনের শেষে ১৬৩ রানে আউট হয়ে ফিরে যান প্রদোশ। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ২৩টি বাউন্ডারি এবং মাত্র ১টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। দিনের শেষে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৩৭৭। এবার দেখার বিষয় চতুর্থ দিনে কি করতে পারে ভারতের জুনিয়র দল। এই মুহূর্তে ৫৮ রানের লিড নিয়ে এগিয়ে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া।