জয়পুরে ২০১৯ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের একটি ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালসের (RR)। সেই ম্যাচে নো-বল বিতর্ক নিয়ে মারাত্মক জলঘোলা হয়েছিল। রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত সিএসকে ৪ উইকেটে জিতেছিল। তবে এই ম্যাচেই একেবারে অন্য রুপে দেখা মিলেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির।
শেষ ওভারে ১৮ রান দরকার ছিল। ওভারের তৃতীয় বলে সিএসকে অধিনায়ক ধোনি আউট হয়ে যান। রবীন্দ্র জাদেজা এবং মিচেল স্যান্টনার দলকে জেতানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে ক্রিজে ছিলেন তখন। আর ধোনি আউট হওয়ার পরের বলেই অর্থাৎ চতুর্থ ডেলিভারিতে,বেন স্টোকসের ফুল-টস কোমরের উপর ছিল বলে মনে হয়েছিল। আম্পায়ার প্রাথমিক ভাবে নো-বল দিয়েছিলেন। তবে স্কোয়ার-লেগ আম্পায়ার ব্রুস অক্সেনফোর্ড কলটি বাতিল করে দেন, যার ফলে সিএসকে শিবির খেপে লাল হয়ে যায়। রাগে ফেটে পড়তে দেখা যায় মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। ঠাণ্ডা মাথার ধোনিকে এতটা রেগে যেতে এর আগে কেউ কখনও দেখেননি।
সদ্য আউট হয়ে প্যাভিলিয়ানে ফিরে যাওয়া ধোনি রেগেমেগে মাঠে নেমে চলে এসেছিলেন। আম্পায়ারদের মুখোমুখি হয়ে তর্ক জুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। একজন অধিনায়কের জন্য এটি অত্যন্ত বিরল কাজ। তবে ধোনি রাগ দেখালেও, এবং সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানালেও, আম্পায়ররা সেই ডেলিভারিটি আর নো-বল দেননি। বলটি বৈধ বলে রায় দিয়েছিলেন।
যাইহোক শেষ পর্যন্ত স্যান্টনার শেষ বলে ছয় হাঁকিয়ে সিএসকে-র জয় নিশ্চিত করেছিলেন। আইপিএলের কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘনের জন্য ধোনিকে বড় শাস্তি পেতে হয়েছিল। তাঁর ম্যাচ ফি এর ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছিল। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বিতর্কিত মুহূর্তগুলির মধ্যে একটি ছিল।
প্রায় ছয় বছর পরে, মন্দিরা বেদির সঙ্গে ফ্রি-হুইলিং চ্যাটের সময় ধোনি এই মুহূর্তটিকে স্মরণ করেছেন এবং এটিকে ‘বড় ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন। ধোনি মাস্টারকার্ড দ্বারা আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘এটা ঘটেছিল আইপিএলের একটি ম্যাচে, যখন আমি মাঠের ভিতর ঢুকে পড়েছিলাম। এটা আমার একটা বড় ভুল ছিল। কিন্তু এর বাইরেও, এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যেখানে উত্তেজিত করা হয়েছিল। আমরা এমন একটি খেলা খেলি, যেখানে উত্তেজনা খুব বেশি থাকে, প্রতিটি খেলায় জেতার লক্ষ্যই থাকে। তার জন্য অনেক কিছু ম্যানেজ করতে হয়।’
সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘তাই আমি বলেছিলাম যে, আপনি যখন কিছুটা রেগে যান বা হতাশ হয়ে পড়েন, তখন আপনার চুপ থাকাটাই উচিত। কিছুক্ষণ এর থেকে দূরে থাকুন, গভীর শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন। এটি চাপ সামলাতে বেশ সুবিধে দেয়। আপনি যদি ফলাফলের দিক থেকে যদি নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারেন, তবে এটি আপনাকে সাহায্য করবে। আপনার আবেগ আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রভাবিত করবে না।’