টি২০ বিশ্বকাপেও ব্যাটে বলে দলের জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। তার আগে ওডিআই বিশ্বকাপে ভারতের হারের পরে অনেকেই দাবি করেছিলেন, হার্দিক না থাকাতেই ভারত হেরেছে। আর চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হার্দিক পাণ্ডিয়া ফের ব্যাটে-বলে দলকে ভরসা দিচ্ছেন হার্দিক। তাঁর জন্যেই দলের 'ব্যালেন্স' ঠিক থাকছে বলে দাবি করছেন তাবড় তাবড় ক্রিকেট বিশ্লেষক এবং বিশেষজ্ঞরা। হার্দিকের জন্যে ভারত ৬ জন বোলার নিয়েও খেলছে। আবার ৮ নম্বর পর্যন্ত ব্যাটিংও পাচ্ছে। তবে এহেন হার্দিকের থেকে প্রাক্তন এক পাক ক্রিকেটারকে বড় অলরাউন্ডার বলে দাবি করলেন শোয়েব আখতার এবং মহম্মদ হাফিজ। দু'জনেরই দাবি, প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার আবদুল রাজ্জাক হার্দিকের থেকে বেশি ভালো এবং প্রতিভাবান ছিলেন। (আরও পড়ুন: 'রোহিতের নেতৃত্বে ভারত ফাইনালে, খুব খুব খুশি', 'মোটা' বিতর্কে ডিগবাজি নেত্রীর?)
আরও পড়ুন: শোধ রোহিতের অপমানের, ভারত জিততেই কংগ্রেস নেত্রীকে আক্রমণ পাক ইউটিউবার জুটির
ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালের পরে পিটিভি-তে একটি অনুষ্ঠানে হার্দিককে নিয়ে আলোচনা করেন শোয়েব, হাফিজরা। সেখানেই শোয়েব বলেন, 'দেখুন হার্দিক পাণ্ডিয়া কোনও ম্যালকম মার্শাল নন, ওয়াকার ইউনুস নন, জাভাগল শ্রীনাথ নন, কোনও ব্রেট লি-ও নন। তিনি শুধু নিজের মানসিকতার জোরে এটা (ভালো বল) করতে পারেন। তাঁকে প্রথমের দিকে নতুন বলে বল করতে বললে করে দেন, মাঝের ওভারে বল করতে বললে সেটা করে দেন, শেষের দিকে বললে তাও করে দেন। আবার ব্যাটিংয়ে তিনি তত বড় কোনও পাওয়ার হিটারও নন। তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এই সব কাজ আপনাকে করতে হবে। তিনি এখন মার্কেট লুটছেন। মার্কেট (ক্রিকেট বাণিজ্য) আপনাকে বড় হতে দেয়। এমন হিটিং আমাদের দলে খুব সাধারণ বিষয় ছিল। তিনি (হার্দিক) খুবই ভালো।'
এরপর হাফিজ বলেন, 'আমি শোয়েব আখতারের কথাকে সমর্থন করছি। আমরা এখন হার্দিক পাণ্ডিয়াকে দেখছি। আপনি আবদুল রাজ্জাকের ম্যাচের রেকর্ড দেখলে জানবেন, তিনি এর থেকে অনেক বড় মানের খেলোয়াড় ছিলেন। তবে সিস্টেম ততটা খেয়াল রাখেনি তাঁর।' এরপর শোয়েব বলেন, 'রাজ্জাককে দিয়ে ওপেনিং, মিডল অর্ডার, শেষের ওভারে সব জায়গায় ব্যাট করানো হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল আমরা কারও সম্মান করিনি।'
চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হার্দিক ৪ ম্যাচে ২৮.২৫ গড়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন। ওভার পিছু রান খরচ করেছেন মাত্র ৫.২৬। তাঁর বোলিং স্ট্রাইক রেট ৩২.২৫। এদিকে ব্যাটিংয়ে শেষের দিকে নেমে ৮১ রান করেছেন ৩ ইনিংসে। স্ট্রাইক রেট তাঁর ১০৮। ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৫টি। গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি ৪৫ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলে ভারতকে ২৫০ রানের গণ্ডির দোরগোড়ায় নিয়ে গেছিলেন। এদিকে রাজ্জাকের ওডিআইতে ৫০৮০ রান ছিল। যার মধ্যে ৩ সেঞ্চুরি এবং ২৩টি হাফ সেঞ্চুরি ছিল। এছাড়া তিনি ২৬৯ উইকেট নিয়েছিলেন ওডিআই ক্যারিয়ারে।