পাকিস্তানের কিপার-ব্যাটার উমর আকমল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে আইপিএল ২০২৪-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে উল্টে বাজে ভাবে ট্রোলড হলেন। আসলে ভুল বানান লিখেই চূড়ান্ত কটাক্ষের শিকার হন উমর আকমল। প্রসঙ্গত, উমরের দাদা কামরান আকমল এক সময়ে আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্রাবিড়ের পর রোহিতদের কোচ হিসেবে গম্ভীরকেই চূড়ান্ত করতে চলেছে BCCI- রিপোর্ট
রবিবার চেন্নাইয়ের চিপকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ১০ বছর পর ফের আইপিএলের শিরোপা জেতে কেকেআর। আর এর পরেই বিভিন্ন মহল থেকেই বিভিন্ন ব্যক্তিই কলকাতার দলকে শুভেচ্ছা জানান। সেই তালিকায় ছিলেন উমর আকমলও। কেকেরআর-এর শিরোপা জয়ের প্রশংসা করতে গিয়ে নিজেই উল্টে বেকায়দায় পড়ে গেলেন।
আরও পড়ুন: বিলাসবহুল জীবনের পর যখন বাস্তব সামনে আসে…ধারাভিতে মাসাজ থেরাপিস্টের বাড়ি যাওয়ার পর দার্শনিক LSG কোচ ল্যাঙ্গার
কী লিখেছেন উমর আকমল?
তবে তাঁর বার্তায় তিনি কেকেআর-কে (KKR) ভুল করে কেকেএল (KKL) লিখে দেন। যার পর সোশ্যাল মিডিয়া তাঁকে নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করে দেয়। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘KKL-কে তৃতীয় আইপিএল ট্রফি জেতার জন্য অভিনন্দন’। তার পরই শুরু হয় ট্রোলের বন্যা। এর আগেও ভুল ইংরেজি লিখে কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন তিনি। বিরাট কোহলিকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ভুল ইংরেজি লিখে। সেই স্মৃতি উস্কে ফের ক্রিকেটভক্তদের শিকার ‘লর্ড’ উমর।
কটাক্ষের মুখে পাক তারকা
একজন ব্যবহারকারী রসিকতা করে লিখেছেন, ‘তৃতীয় কেকেআর জেতার জন্য আইপিএলকে অভিনন্দন।’ আর একজন লিখেছেন, ‘তৃতীয় কেকেএল কনহার্জুলেশন ট্রফি জয়।’ অন্য জন লিখেছেন, ‘আইপিএল তৃতীয় জয়ী ট্রফির জন্য কেকেএল অভিনন্দন। প্রভু উমর।’ এছাড়াও ‘দারু পিকার টুইটার মত চালাও ভাই’, ‘কেকেআর লিখতে শেখো আগে, তার পর হ্যাশট্যাগ বানাবে’, ‘ভাই ইয়ে কেকেএল কোন দল?’- এই সব একাধিক মন্তব্য করা হয়েছে, যেগুলি কটাক্ষে ভরা।
আরও পড়ুন: ছেলেরা পাগল হচ্ছে.... হঠাৎ নাইট কোচের কথা থামিয়ে কী বললেন গম্ভীর- ভিডিয়ো
উমর আকমল দাপুটে ভাবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক হয়। শুরুতে তাঁকে ঘিরে অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে তিনি ধীরে ধীরে ব্র্রাত্যের তালিকায় চলে যান। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে মোট ৫৮৮৭ রান।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড উমর আকমলকে সাসপেন্ড করে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি দুর্নীতি বিরোধী নিয়ম ভেঙেছিলেন। তাঁকে তিন বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তাঁর শাস্তি কমিয়ে ১২ মাসের করা হয়। সেই সঙ্গে ২১.৬ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছিল উমর আকমলকে।