
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ইট ছুড়ব, কিন্তু পাটকেল ধেয়ে আসলেই কাঁদুনি গাইব- স্যাম কনস্টাস কাণ্ডে অস্ট্রেলিয়ার হেড কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড যে মন্তব্য করলেন, তাতে সেটাই মনে হবে। কারণ অকারণে ঔদ্ধত্য দেখিয়ে কনস্টাস যখন পায়ে পা তুলে জসপ্রীত বুমরাহের সঙ্গে ঝামেলা পাকালেন, তখন ঠিক ছিল। কিন্তু ভারতীয়রা যেই আগ্রাসী সেলিব্রেশন করলেন, তখনই সেটা ‘ভয়ের’ হয়ে গেল অজি কোচের কাছে। এমনকী ওরকম সেলিব্রেশনের কারণে ভারতীয়দের ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া বা শাস্তি দেওয়া উচিত ছিল বলেও ঘুরিয়ে সওয়াল করেন অস্ট্রেলিয়ার হেড কোচ।
শনিবার সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে অস্ট্রেলিয়ার কোচ বলেন, ‘ও (কনস্টাস) ঠিক আছে কিনা, সেটা নিয়ে ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল আমার। স্পষ্টতই ভারত যেভাবে সেলিব্রেশন করেছিল, সেটা ভয়ের ছিল। এটা স্পষ্টতই খেলার আইন, নিয়মের মধ্যেই আছে। (ভারতীয়দের উুপে) কোনও ধারা চাপানো হয়নি। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন ওরকমভাবে ঝাঁক বেঁধে নন-স্ট্রাইকারের দিকে তেড়ে যায়, তখন সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের দেখভাল দায়িত্ব থাকে আমাদের। নিশ্চিত করতে হয় যে ও ঠিক আছে এবং মানসিকভাবে এমন অবস্থায় আছে যে মাঠে গিয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারবে।’
তাহলে কি ভারত বাড়াবাড়ি করেছে? বল মাটিতে ঠেকার পরেও জেনেবুঝে ক্যাচ বলে দাবি করা, বল মাটিতে ঠেকার জন্য আম্পায়ার আউট না দেওয়ার পরে ব্যাটারের সঙ্গে ঝামেলা পাকানো, স্যান্ডপেপার কাণ্ডের মতো ট্র্যাডিশন বহন করা ক্রিকেট দলের হেড কোচ বলেন, 'এটা স্পষ্ট যে (ভারতের আচরণ) গ্রহণযোগ্য ছিল। কারণ কোনওরকম জরিমানা করা হয়নি বা শাস্তি দেওয়া হয়নি। তাই আমি পুরোটা আইসিসির উপরে ছেড়ে দেব। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট এবং আম্পায়ারদের উপরে বিষয়টা ছেড়ে দেব।'
অথচ পুরো ঘটনার সূত্রপাত যে কনস্টাসের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কারণেই হয়েছে, সেটা চেপে গিয়েছেন অজিদের হেড কোচ। সিডনিতে প্রথম দিনের শেষ ওভারে সময় নষ্টের চেষ্টা করছিলেন উসমান খোয়াজা। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলটা যখন করতে আসছিলেন বুমরাহ, তখনও ‘রেডি’ হননি বলে ভারতীয় তারকাকে থামিয়ে দেন অজি ব্যাটার। তাতে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ হন বুমরাহ। আর সেটার মধ্যিখানে পাকামো মেরে ঢুকে পড়েন কনস্টাস। যে কারণে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের সমালোচনার মুখেও পড়েছেন ১৯ বছরের তরুণ।
বুমরাহ ও খোয়াজার সেই টানাপোড়েনের মধ্যে ঢুকে ভারতীয় তারকাকে কিছু বলতে থাকেন কনস্টাস। পালটা দেন বুমরাহ। আর শুধু মুখেই নয়, দিনের শেষ বলে খোয়াজাকে আউট করে আসল জায়গায় জবাব দেন বুমরাহ। তারপরই রীতিমতো আগ্রাসীভাবে তেড়ে যান কনস্টাসের দিকে। ভারতের বাকি খেলোয়াড়রাও আগ্রাসী সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন। তখন চুপচাপ মাঠ থেকে বেরিয়ে যান কনস্টাস। টুঁ শব্দটাও করতে দেখা যায়নি তাঁকে। দ্বিতীয় দিনের সকালে বেশিক্ষণ মাঠে টিকতে পারেননি। আউট হয়ে যান।
আর তারপর দ্বিতীয় দিনের সেই কনস্টাসের হয়ে কাঁদুনি গেয়েছেন অজিদের হেড কোচ। যদিও তাতে পাত্তা দিচ্ছে না ভারতীয় দল। ভারতের পেসার প্রসিধ কৃষ্ণ বলেন, 'ও যেভাবে খেলতে চায়, সেটা আমরা উপভোগ করি। আমরাও আগ্রাসীভাবে খেলতে চাই। যদি কেউ এসে আমাদের বলে যে আমি লড়াই করতে পারি, তখন দল হিসেবে আমরাও বলতে চাই যে আমাদের নিয়ে এলেবেলে ভাববে না। আমরা সবাই এখানে আছি - ১১ জন বনাম তুমি। তুমি আগ্রাসন দেখাতে পারো, ঠিক আছে।'
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports