কথায় আছে ওস্তাদের মার শেষ রাতে। আর্শদীপ সিং ইন্ডিয়া-ডি দলের ওস্তাদ হয়ে দেখা দিলেন দলীপ ট্রফির তৃতীয় রাউন্ডে। একই স্পেলে টানা ১১.২ ওভার বল করে ৬টি উইকেট নেন আর্শদীপ এবং ইন্ডিয়া-বি দলের শেষ ইনিংস গুটিয়ে দেন সস্তায়। ফলে দলীপের তৃতীয় রাউন্ডে অভিমন্যু ঈশ্বরনের ইন্ডিয়া-বি দলের বিরুদ্ধে দাপুটে জয় তুলে নেয় শ্রেয়স আইয়ারের ইন্ডিয়া-ডি দল।
অনন্তপুরে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ইন্ডিয়া-ডি দল। তারা প্রথম ইনিংসে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করে। দেবদূত পাডিক্কাল ৫০, কেএস ভরত ৫২, রিকি ভুই ৫৬ ও সঞ্জু স্যামসন ১০৬ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি শ্রেয়স আইয়ার।
ইন্ডিয়া-বি দলের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৫টি উইকেট নেন নভদীপ সাইনি। ৩টি উইকেট সংগ্রহ করেন রাহুল চাহার। ১টি উইকেট নেন মুকেশ কুমার। উইকেট পাননি ওয়াশিংটন সুন্দর।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ইন্ডিয়া-বি দল তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ২৮২ রান। ক্যাপ্টেন অভিমন্যু ঈশ্বরন ১১৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। ৮৭ রান করেন ওয়াশিংটন সুন্দর। নারায়ণ জগদীশান ১৩ ও সুয়াশ প্রভুদেশাই ১৬ রান করেন। সূর্যকুমার যাদব ৫ রান করে আউট হন।
ইন্ডিয়া-ডি দলের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৫টি উইকেট নেন সৌরভ কুমার। ৩টি উইকেট নেন আর্শদীপ সিং। ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন আদিত্য ঠাকারে। উইকেট পাননি সরাংশ জৈন।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৬৭ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে ইন্ডিয়া-ডি দল। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে তোলে ৩০৫ রান। প্রথম ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরি করা রিকি ভুই দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৯ রান করেন। ৫০ রান করেন ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার। সঞ্জু স্যামসন ৪৫ রান করেন।
ইন্ডিয়া-বি দলের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪টি উইকেট নেন মুকেশ কুমার। ৩টি উইকেট নেন নভদীপ সাইনি। ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন মোহিত আবস্তি ও ওয়াশিংটন সুন্দর। উইকেট পাননি রাহুল চাহার।
প্রথম ইনিংসের খামতি মিলিয়ে জয়ের জন্য ইন্ডিয়া-বি দলের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩৭৩ রানের। তবে তারা শেষ ইনিংসে মাত্র ১১৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অর্থাৎ, ২৫৭ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে শ্রেয়সের ইন্ডিয়া-ডি দল।
শেষ ইনিংসে ইন্ডিয়া-বি দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪০ রান করেন নীতীশ রেড্ডি। ১৯ রান করেন অভিমন্যু ঈশ্বরন। ১৬ রান করে আউট হন সূর্যকুমার যাদব। অর্থাৎ, ব্যাট হাতে দুই ইনিংসেই নজর কাড়তে পারেননি সূর্যকুমার।
ইন্ডিয়া-ডি দলের হয়ে শেষ ইনিংসে ৪০ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট নেন আর্শদীপ সিং। অর্থাৎ, দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৯টি উইকেট নেন তিনি। শেষ ইনিংসে ৫৯ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন আদিত্য ঠাকারে। দুই ইনিংসে দুরন্ত ব্যাট করা রিকি ভুই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন।