দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। কীভাবে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুযাদের নম্বর দেওয়া হবে, তা সুপ্রিম কোর্টে জানাল দা ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিআইএসসিই)। গত বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার নম্বর এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রজেক্ট, প্র্যাক্টিকাল, সবথেকে বেশি পাওয়া নম্বর যোগ করা হবে। সোমবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট।কীভাবে আইএসসি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার রেজাল্ট তৈরি করা হবে, তা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছে সিআইএসসিই। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, যে কোনও বিষয়ে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়াদের প্রাপ্ত সেরা নম্বর বিবেচনা করা হবে। তা দিয়ে যোগ করা হবে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার ৬০ শতাংশ নম্বর। বিষয়গুলির প্রজেক্ট এবং প্র্যাক্টিকাল কাজের ৩০ শতাংশ নম্বর ধরা হবে। বাকি ১০ শতাংশ নম্বর ধরা হবে দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার। সেইসঙ্গে গত ছ'বছরে সংশ্লিষ্ট স্কুলের সেরা পারফরম্যান্সও বিবেচনা করবে সিআইএসসিই।হলফনামায় বোর্ডের তরফে বলা হয়েছে, 'চূড়ান্ত পদ্ধতি বেছে নেওয়ার জন্য ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বোর্ড পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।' যে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যে মোচটামুটি সায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে সোমবার (২১ জুন) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।এমনিতে গত ১ জুন দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করে দেয় সিআইএসসিই। বোর্ডের সচিব জেরি অ্যারাথুন জানান, বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। তবে সিআইএসসিই যে পরীক্ষা বাতিলের পথে হাঁটতে চলেছে, তা গত মাসের একাধিক পদক্ষেপেই আভাস মিলেছিল। স্কুলগুলিকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা (২০১৯-২০) এবং চলতি শিক্ষাবর্ষের (২০২০-২১) গড় নম্বর জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল সিআইএসসিই। বোর্ডের সচিব ‘অত্যন্ত গোপনীয়’ চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, আগামী ৭ জুনের মধ্যে সেই কাজ করতে হবে। শেষপর্যন্ত সেই নম্বর দিয়েই মূল্যায়নের পথে হাঁটতে চলেছে সিআইএসসিই।