সঞ্জীব কুমার রাউতের নেতৃত্বে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশের লক্ষ্যে একটি শিল্প প্রশিক্ষণ-সহ উত্পাদন কেন্দ্র হিসেবে শুরু হয়েছিল সিভি রামন গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস। ১৯৯৭ সালে সিভি রামন কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সূচনা হওয়ার পর এখন পলিটেকনিক এবং ডিগ্রি স্তরের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পরিণত হয়েছে। সিভি রামন গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনসকে একটি গ্লোবাল শিক্ষার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল এবং ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ‘ওড়িশা অ্যাক্ট ০১ অফ ২০২০’-এর অধীনে যথাযথভাবে সিভি রামন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি (সিজিইউ) হিসেবে পুনর্গঠিত করা হয়েছে।

২৪ বছরে সিজিইউ ওড়িশাকে অনেক পুরস্কার এনে দিয়েছে। সিজিইউ, ওড়িশা দ্বিতীয়বারের জন্য চলতি বছর এআইসিটিই দ্বারা পূর্ব ভারতের সবচেয়ে পরিষ্কার ও স্মার্ট ক্যাম্পাস হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ক্লিন অ্যান্ড স্মার্ট ক্যাম্পাস অ্যাওয়ার্ডের জন্য ৩,০০০-এরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের মধ্যে সিজিইউ, ওড়িশা সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ২৯ টি কলেজের মধ্যে ছিল। পূর্ব ভারত থেকে একমাত্র ক্যাম্পাস হিসেবে শর্টলিস্ট হয়েছিল। আইডিয়া ল্যাব (আইডিয়া ডেভেলপমেন্ট, ইভ্যালুয়েশন অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন) ২০২১ সালে দেশজুড়ে ৪৯ টি কলেজের মধ্যে সিজিইউকে নির্বাচিত করেছে। এই প্রতিষ্ঠানকে ২০১৪ সালে 'এ' গ্রেড প্রদান করেছে এনএএসি এবং গত পাঁচ বছরে ধারাবাহিকভাবে স্থান পেয়েছে এনআইআরএফ , এমএইচআরডি ভারত সরকার কর্তৃক ভারতের প্রথম ১০০ টি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে৷
সিজিইউ, ওড়িশা ধারাবাহিকভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রযুক্তি উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। এই ধরনের মানসিকতাকে লালন করতে এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে উৎসাহিত করার জন্য এটি পূর্ব ভারতের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দুটি ইনকিউবেশন কেন্দ্র আছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি ভারত সরকারের ডি.এস.আই.আর দ্বারা একটি বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং বিশ্বমানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমশক্তি তৈরির লক্ষ্যে ২১ টি এক্সেলেন্সেস সেন্টার রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে - ড্রাইভ অ্যান্ড কন্ট্রোলের জন্য বস্ক রেক্সরথ, টোটালি ইন্টিগ্রেটেড অটোমেশনের জন্য সিমেন্স, সিভি রামন গুগল ফর অ্যান্ড্রয়েড প্রোগ্রামিং অ্যান্ড ডিজিটাল মার্কেটিং, টাটা ফর অটোমোবাইল টেকনোলজি এবং স্নাইডার ইলেকট্রিক ফর এনার্জি ম্যানেজমন্ট অ্যান্ড অটোমেশন৷

সিভি রামন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির লক্ষ্য হল সাফল্য পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের তৈরি করা। যে বিশ্ববিদ্যালয় একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে। ওয়াই-ফাইয়ের সুবিধা-সহ সবুজ ক্যাম্পাসে রয়েছে সমস্ত আধুনিক প্রযুক্তি, অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকা। যাঁরা ছাত্রছাত্রীদের জীবন ও কেরিয়ারে সফল হওয়ার জন্য সবরকমভাবে সাহায্য করে থাকেন৷ বিভিন্ব কাজের মধ্য দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তিগত শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে।
সতর্কীকরণ (ডিসক্লেমার) : এই তথ্যাদি প্রস্তুত করেছে ব্র্যান্ড সলিউশনস টিম। এই প্রবন্ধ লেখার কাজে HT Media-র কোনও সাংবাদিক নিযুক্ত ছিলেন না। এই প্রবন্ধে লেখা তথ্যের সত্যনিষ্ঠতা, প্রাসঙ্গিকতা, যথার্থতা, বৈধতা নিয়ে কোনও দাবি করে না HT Media।