যেখানে সংগঠন তৈরি করা যাবে, সেখানেই আগামী পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করবে আম আদমি পার্টি। সম্প্রতি আম আদমি পার্টির তরফে এই তথ্যই প্রকাশ্যে আসছে। সম্প্রতি এই রাজ্যে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক সঞ্জয় বসু। পঞ্জাব ও গোয়ায় আপের সাফল্যের এই রাজ্যের মানুষও যে আপের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন, তা বিলক্ষণ জানেন আপ নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে জমি পরখ করে নিতেই এসেছেন পর্যবেক্ষক সঞ্জয় বসু। আপ নেতৃত্ব চায়, রাজ্যে সংগঠনকে মজবুত করে তুলতে। এটাই তাঁদের কাছে প্রাথমিক লক্ষ্য। এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক সঞ্জয় বসু জানান, ‘সংগঠন না থাকলে ভোটে লড়াই করে কোনও লাভ নেই। আমরা এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নেব। সব জায়গায় লড়ব না। যেখানে সংগঠন তৈরি হবে, লড়াই করা যাবে, সেখানেই আমরা প্রার্থী দেব।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, শুধু সংগঠন তৈরি হলেই হবে না, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু মাপকাঠি থাকবে। ইতিমধ্যে রাজ্যে আপের তরফে সংগঠনকে মজবুত করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে আপ পর্যবেক্ষক জানান, ‘২০২০ সাল থেকে বাংলায় প্রথম আপের সদস্য সংগ্রহ শুরু হয়। প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মিসড কলের মাধ্যমে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে কর্মী হতে পেরেছেন ১৭০০ মানুষ। এবার লাখ লাখ মানুষ মিসড কল দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ২১ হাজার জনকে বাছা হয়েছে। জেলা ও বিধানসভা স্তরে তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাঁরা পঞ্চায়েত স্তরে কাজ শুরু করে দিয়েছেন।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, আপ চুপচাপ সংগঠন বৃদ্ধি করতে বিশ্বাসী। আমরা বাংলার অন্য রাজনৈতিক দলের মতো নই। আমরা চাই না দলের মধ্যে বগটুই কাণ্ডের মতো আনারুল হোসেন থাকুক। আমরা রাজনীতি করতে আসিনি। রাজনীতি বদলাতে এসেছি।’ পাশাপাশি তাঁদের আগামী দিনে লক্ষ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে আপ নেতা জানান, ‘আগামী জুন মাসের মধ্যে পঞ্চায়েত স্তরে টিম বানাতে হবে। যারা দলে এলেন তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় স্বচ্ছ রয়েছে কিনা, সেটাও দেখে নিতে হবে। সেইসঙ্গে স্থানীয় সমস্যা খুঁজে বের করে তার সমাধানের উপায় বের করাটাও আমাদের কাজ।’