রাজ্যে সরকারি বিনামূল্যে টিকাকরণ কেন্দ্রের তথ্য কো-উইন অ্যাপে আপলোড করছে না তৃণমূল সরকার। শুধুমাত্র তৃণমূল পার্টি অফিস থেকেই মিলছে সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রের ঠিকানা। অনেক জায়গাতে কাউন্সিলরের চিঠি না দেখালে মিলছে না টিকা। অনেক জায়গায় টিকা পেতে টাকার বিনিময়ে নিতে হচ্ছে কুপন। ঘুরপথে বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিকে সুবিধা করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সোমবার দুপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই চাঞ্চল্যকর সব অভিযোগ করলেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ তথা বিজেপি নেতা চিকিৎসক ইন্দ্রনীল খান।রীতিমতো ল্যাপটপ নিয়ে বসে ডাক্তারবাবু দেখান, অন্য রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি ২ রকম টিকাকরণ কেন্দ্রের তালিকা কো উইন অ্যাপে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রের তালিকা দেখা যাচ্ছে সেখানে। এমনকী অবিজেপি শাসিত রাজ্য দিল্লিতেও ২ রকমের টিকাকরণ কেন্দ্রের তালিকা দেখা যাচ্ছে কো উইন অ্যাপে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তা দেখা যাচ্ছে না।ডাক্তারবাবুর অভিযোগ, সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রের সন্ধান পেতে যেতে হচ্ছে তৃণমূল পার্টি অফিসে। তারাই বলে দিচ্ছেন কে কবে টিকা পাবেন। অনেক জায়গায় তৃণমূলের কাউন্সিলরের সুপারিশ ছাড়া টিকা মিলছে না। অনেক জায়গায় টিকা পেতে গেলে টাকার বিনিময়ে কুপন সংগ্রহ করতে হচ্ছে। মাহামারিকালে টিকা নিয়েও দুর্নীতি করছে তৃণমূল।চিকিৎসক খাঁ-র দাবি, সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রের তালিকা কো-উইন অ্যাপে না থাকার কারণেই দেবাঞ্জনের মতো প্রতারক গজিয়েছে। সঙ্গে যারা সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রের থেকে টিকা নিয়েছেন তাদের সার্টিফিকেট পেতে কালঘাম ছুটছে।এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা প্রণয় রায় বলেন, রাজ্যে ৪০ শতাংশ টিকাকরণ হচ্ছে বেসরকারি কেন্দ্রে। সেখানে টাকা দিয়ে টিকা নিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অনেকে সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রের খোঁজ না পেয়ে, অনেকে তৃণমূলের তোষামদি করতে পারবেন না বলে টাকা দিয়ে টিকা নিচ্ছেন। এভাবে রাজ্যে টিকার কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিকে সুবিধা করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার।