
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে সেমিস্টার পদ্ধতি। একাদশ শ্রেণির সেমিস্টার ওয়ান এবং টু পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কড়া হাতে তৈরি করতে পারবেন স্কুলের সংশ্লিষ্ট বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক–শিক্ষিকারা। এবার এই নির্দেশ দিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সুতরাং কোনও শিক্ষক সংগঠন বা এজেন্সির তৈরি করা প্রশ্নপত্র নিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই বেশ চাপে পড়ে গিয়েছেন বিপুল পরিমাণ উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। কারণ এই কাজ অত্যন্ত চাপের। তার উপর যদি প্রশ্নপত্র কঠিন হয় তখন পড়ুয়াদের রোষ চলে আসে প্রধানশিক্ষকদের উপর। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
প্রধানশিক্ষকরা কেন চাপে পড়ছেন? এই কাজ করতে গেলে লাগবে ম্যান পাওয়ার। সেখানে সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগ স্কুলে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে বহু বিষয়ের পূর্ণ সময়ের শিক্ষক–শিক্ষিকাই নেই। তাহলে নানা বিষয়ের প্রশ্নপত্র তৈরি হবে কেমন করে? উঠছে প্রশ্ন। আর স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় ভরসা করতে হয় পার্টটাইম, গেস্ট অথবা স্কুলের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের উপর। কিন্তু চলতি শিক্ষাবর্ষে সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাস। বার্ষিক পরীক্ষার পরিবর্তে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে চালু হয়েছে সেমিস্টার পদ্ধতি। একাদশের প্রথম সেমিস্টার হবে মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন এবং ওএমআর শিট ফর্ম্যাটে।
আরও পড়ুন: বিদ্যাসাগর শিল্পতালুক গড়ে তুলেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, আজ সেখানে পড়ে ফাঁকা জমি
এই নিয়ে নানা স্কুলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক রাজা দে বলেন, ‘আমাদের উচ্চমাধ্যমিকে ২৭০ জন পড়ুয়া। কিন্তু অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন এবং এডুকেশনের বিষয়ে কোনও স্থায়ী শিক্ষক নেই। পার্টটাইম শিক্ষকদের দিয়ে চালাতে হয়। আর তাঁরাও নতুন। তাঁরা সংসদের নিয়ম মেনে প্রশ্ন তৈরি করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আছি।’ এই বিষয়ে মালদার কালিয়াচক–২ ব্লকের পঞ্চানন্দপুর সুকিয়া হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক মোস্তাফা কামালের বক্তব্য, ‘আমাদের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ৬০০ পড়ুয়া। ১০টি বিষয়ে পূর্ণসময়ের কোনও শিক্ষক নেই। মাধ্যমিকের শিক্ষক এবং পার্টটাইম শিক্ষকরা কেমন করে প্রশ্ন করবেন সেটা বলা কঠিন।’
এছাড়া সংসদের নির্দেশিকা নিয়ে আলোচনা চলছেই। কাকদ্বীপ জ্ঞানদাময়ী বিদ্যাপীঠের প্রধানশিক্ষক সুশীল প্রামাণিকের কথায়, ‘প্রশ্নপত্র নিয়ে সংসদের নির্দেশিকা বিতর্কিত। আমাদের এখানে ১০টি বিষয়ে স্থায়ী শিক্ষক নেই। বিজ্ঞান বিভাগের বেশিরভাগ বিষয় পড়ান পার্টটাইম অথবা মাধ্যমিকের শিক্ষকরা। তাঁরা নতুন সিলেবাস মেনে কী করে প্রশ্ন করবেন সেটা জানি না।’ পূর্ব মেদিনীপুরের ডালিম্বচক টেকনিক্যাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতাভ নন্দ বলেছেন, ‘সবে ২০২৩ সালে আমাদের স্কুল মাধ্যমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিকে উন্নীত হয়েছে। এখানের একটিতেও পূর্ণসময়ের শিক্ষক নেই। সুতরাং কেমন করে এমসিকিউ পদ্ধতিতে প্রশ্ন তৈরি করবেন?’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports