বছর বছর শিল্প সম্মেলন হয় পশ্চিমবঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে মুকেশ আম্বানি থেকে শুরু করে হর্ষ নেওটিয়া, সঞ্জীব গোয়েঙ্কাদের মতো শিল্পপতিরা অংশ নেন সেই শিল্প সম্মেলনে। ঘোষণা করা হয় কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের। তবে সেই সব প্রস্তাবের কতটুকু বাস্তবায়িত হয়? কেন্দ্রীয় শিল্পোন্নয়ন ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দফতরের বার্ষিক রিপোর্টে প্রকাশ্যে এল সেই তথ্য। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে দেশের রাজ্যগুলি কত টাকার লগ্নি প্রস্তাব পেয়েছে এবং তার মধ্যে কত টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, সেই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: ভারতের চিন্তা বাড়িয়ে চিন সফরে কি কোনও চুক্তি করবেন বাংলাদেশের ইউনুস?)
আরও পড়ুন: মোদী-ইউনুস বৈঠক নিয়ে জয়শংকরের বক্তব্যের পর কী বললেন বাংলাদেশি বিদেশ উপদেষ্টা?
কেন্দ্রের তরফ থেকে প্রকাশিত সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, লগ্নি প্রস্তাবের নিরিখে বাংলা দেশের সব রাজ্যগুলির মধ্যে চতুর্থ স্থানে আছে। অর্থাৎ, সব রাজ্যের মধ্যে বাংলাতে চতুর্থ সর্বোচ্চ লগ্নির প্রস্তাব এসেছিল ২০২৪ সালের জানুয়ারি-নভেম্বর সময়কালে। যদিও সেই লগ্নি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে খুব একটা ভালো স্থানে নেই পশ্চিমবঙ্গ। রিপোর্টে দাবি করা হেয়েছে, লগ্নি বাস্তবায়নের নিরিখে গোটা দেশের মধ্যে ১৪তম স্থানে আছে বাংলা। পড়শি ওড়িশা বাংলার ওপরে আছে সেই তালিকায়। (আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশে শত্রু নয় চিন, তারা প্রতিদ্বন্দ্বী', ইউনুসের সফরের আগে দাবি জয়শংরের)
আরও পড়ুন: চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর জামিন মামলায় বড় নির্দেশ বাংলাদেশ হাইকোর্ট বেঞ্চের
কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪-এর প্রথম ১১ মাসে পশ্চিমবঙ্গে লগ্নি প্রস্তাব এসেছিল ৩৯,১৩৩ কোটি টাকার। গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লগ্নি প্রস্তাব আসে ২০২৪ সালে। তবে এর মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছিল মাত্র ৩৭৩৫ কোটি টাকার লগ্নি। অপরদিকে ডিপিআইআইটি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩-এ এ রাজ্যে বাস্তবায়িত হয়েছিল ৪৯৩০ কোটি টাকার প্রস্তাব। ২০২২ সালে সেই অঙ্কটা ছিল ৩৭৩৫ কোটি টাকা। (আরও পড়ুন: ঢাকায় ঘুরল খেলা! সেনা প্রধানের সাথে বৈঠক নিয়ে উলটো দাবি হাসনাতের বেস্ট ফ্রেন্ডের)
আরও পড়ুন: মাওবাদীদের পেতে রাখা IED বিস্ফোরণে প্রাণ গেল বাংলার এক জওয়ানের, জখম আরও এক
এদিকে লগ্নি বাস্তবায়নের নিরিখে গুজরাট শীর্ষে আছে। তাদের রাজ্যে গিয়েছে ৮৩ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকার পুঁজি। এদিকে বাংলার থেকে কম লগ্নি প্রস্তাব পেয়েছে উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়। তবে বাংলার থেকে অনেক বেশি টাকার লগ্নি প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়েছে সেখানে। এদিকে মধ্যপ্রদেশে বাস্তবায়িত হয়েছে লগ্নি প্রস্তাবের দ্বিগুণ।