নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্য শিক্ষা দফতরের প্রধান কার্যালয় বিকাশ ভবন থেকে গাড়ি বোঝাই করে নথি নিয়ে গেল সিবিআই। ৩ দিন ধরে তল্লাশির পর শুক্রবার ছোটা হাতি গাড়ি ভরে নানা নথি নিয়ে যান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে ওই নথিগুলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন - রাজভবনের সামনে শুভেন্দুর ধরনা কবে? তারিখ নিয়ে মতবিরোধে এখন বিশ বাঁও জলে
পড়তে থাকুন - সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর, শহরের বুকে বৈঠক হবে?
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিকাশ ভবনের পাঁচ চলায় মাধ্যমিক শিক্ষা দফতরের গুদাম সিল করে দিয়েছিল সিবিআই। প্রায় দেড় বছর পর বুধবার থেকে সেই গুদামে তল্লাশি শুরু করেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। ৩ দিনের তল্লাশির পর শুক্রবার দুপুরে বিকাশ ভবনের সামনে এসে দাঁড়ায় একটি ছোটা হাতি। গাড়ি বোঝাই করে নথি নিয়ে নিজাম প্যালেসের উদ্দেশে রওনা দেন সিবিআই আধিকারিকরা।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সব নথি থেকে জানা গিয়েছে শুধু শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী বা কর্তাব্যক্তিরা নন, নিচু তলার কর্মীরাও নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন। উদ্ধার হওয়া নথি খতিয়ে দেখলে নিয়োগ দুর্নীতির আরও সূত্র পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন - নির্বাচিত বোর্ড না থাকা পুরসভা নিয়ে ফিরহাদকে নির্দেশ মমতার, পুরভোট কি আরও পরে!
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের শীর্ষনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আরও জামিন পাননি তিনি। এর পর একে একে গ্রেফতার হন স্কুল সার্ভিক কমিশনের একাধিক কর্তা ব্যক্তি। তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, গুরুগ্রামের একটি সংস্থার আধিকারিকের সঙ্গে আঁতাত করে চলত এই দুর্নীতি। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তার নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হত মেধা তালিকায়। দুর্নীতি গোপন করতে সাততাড়াতাড়ি যাবতীয় OMR নষ্ট করা হয় বলেও আদালতে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।