নদিয়ার একটি স্কুলে বাংলা বিষয়ে অস্থায়ী শিক্ষক হিসাবে কাজ করেছিলেন নাসিরউদ্দিন শেখ। আচমকাই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। মামলা করেন ওই শিক্ষক। মামলা করে বিচারপতির কাছে ভর্ৎসনা শুনতে হল শিক্ষককে। ক্ষুব্ধ বিচারপতি জানালেন, ‘আপনাদের মতো লোকেদের জন্য ৯ বছর স্থায়ী পদে শিক্ষক নিয়োগ করা যায়নি।’ মামলাটি খারিজ করে দেন বিচারপতি।১৯৯৮ সালের মে মাস থেকে ২০০৭ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত নদিয়ার গয়েশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলা বিষয়ে অস্থায়ী শিক্ষক পদে কাজ করেছেন নাসিরুদ্দিন। এরপর কোনও কারণ না দেখিয়েই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সেই শিক্ষক। বুধবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে মামলাটি ওঠে। বিচারপতি মামলাকারীকে প্রশ্ন করেন, ‘কার সুপারিশে চাকরি পেয়েছেন? স্থানীয় বিধায়কের সুপারিশে চাকরি পেয়েছেন কী?’ এখানেই থেমে থাকেননি বিচারপতি। তিনি জানান, ‘আপনি তো পদ আটকে রেখেছিলেন। আপনাদের মতো লোকেদের জন্য ৯ বছর ধরে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। মগের মুলূক নাকি।’ এই মামলায় রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, ওই শিক্ষক যেহেতু অস্থায়ী, তাই তাঁকে নিয়োগ করার ক্ষেত্রে কোনও নিয়োগপত্র দেওয়া হয় না। পরিচালন কমিটি তাঁকে নিযুক্ত করেছে। সেক্ষেত্রে পরিচালন কমিটি কারো সুপারিশে এই সব নিয়োগ করত। সেখানেই বিচারপতি প্রশ্ন করেছিলেন, কার সুপারিশে পরিচালন কমিটি ওই শিক্ষককে নিয়োগ করেছিলেন। তবে মামলাটি শেষ পর্যন্ত খারিজ করে দেন বিচারপতি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি এসএসসিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। অস্বস্তিতে ফেলেছে বর্তমান রাজ্য সরকারকে।