গভর্মেন্ট আর্ট কলেজে ভর্তির তালিকা রাতারাতি বাতিল, ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা

স্নাতক স্তরে ভর্তির তালিকা প্রকাশের পর বাতিল করার অভিযোগ উঠল গভর্মেন্ট আর্ট কলেজের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে কলেজ চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। অভিযোগ, কলেজে ভর্তির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকা কলেজের নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনকী ভর্তির জন্য অনলাইনে টাকাও জমা দিতে বলা হয়েছিল। তারপরে সোমবার ও মঙ্গলবার পড়ুয়াদের আদালতে ভর্তি হতে বলা হয়েছিল। সেইমতোই অনলাইনে টাকা জমা দিয়ে ভর্তি যাওয়া ছাত্র ছাত্রীরা সোমবার কলেজে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার ছাত্রছাত্রীরা কলেজে গেলে গেটেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। তাঁদের জানানো হয়, সেই তালিকা বাতিল করে নতুন তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় পড়ুয়াদের মধ্যে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজের গেটের বাইরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।আরও পড়ুন: রাজ্যে স্নাতকে খালি প্রায় ৫৮ শতাংশ আসন, সময়সীমা শেষ হতে চললেও চিত্র উদ্বেগেরপড়ুয়াদের অভিযোগ, ভর্তির জন্য তালিকা প্রকাশ করার পর তা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি নতুন তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। বিএফএ পাঠ্য ক্রমের প্রথম সেমিস্টারে প্রভিশনাল ভর্তির তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে বলে তাঁরা জানায়। পড়ুয়াদের অভিযোগ, গত শুক্রবার কলেজের তরফে উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। তা নোটিশ বোর্ডে টাঙানো হয়। সেইমতোই টাকা দিয়ে অনেকে ভর্তিও হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার কলেজে ডাকা হলে তাঁরা জানতে পারেন সেই তালিকা বাতিল করা হয়েছে এবং নতুন করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এমনকী কী কারণে তা বাতিল করা হল তা জানার জন্য পড়ুয়াদের কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। এ বিষয়ে এক ছাত্রের অভিযোগ, এতদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এখন নতুন তালিকায় নাম না থাকলে সব স্বপ্ন ভেঙে যাবে পুরনো তালিকা নোটিশ বোর্ড থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে ওই ছাত্র জানান।যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, আগের তালিকায় কিছু সমস্যা ছিল। সেই কারণে ওই তালিকাটি বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ছাত্রপতি দত্ত বলেন, ‘কিছু কারণে আমরা তালিকা প্রকাশের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতির অপেক্ষায় ছিলাম। সোমবার সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।’ যদিও ছাত্রদের অভিযোগ নতুন তালিকায় অনেকের নাম ছিল না। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি নতুন তালিকায় কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।