টেটের দুর্নীতি নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। সুতরাং যে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়া হয়েছিল তা ধোপে টিকল না। কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখার অর্থ যেমন চলছিল তেমনই চলবে। সেখানে তদন্তের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণ বহাল রইল। আবার ২৬৯ জন প্রার্থীর চাকরি বাতিলের নির্দেশেও সিলমোহর দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
এই নিয়ে বিরোধীরা শাসকদলকে আক্রমণ করেছেন। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলই এই নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এই পরিস্থিতিতে আজ, শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ভবনে সিবিআই হানা দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আজ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখার খবর প্রকাশ্যে আসার পরই এই ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে এখন টানটান উত্তেজনা।
ঠিক কী বলেছে বিজেপি? বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আগে আমরা দেখেছি, আগে কোনও এক কারণে সিঙ্গল বেঞ্চের রায় আটকানোর চেষ্টা হয়েছিল। এবার তা হয়নি। কারণ প্রমাণ সব বিরুদ্ধে রয়েছে। এবার কোর্টের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আরও শক্তপোক্ত হল।’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘প্রাথমিক টেট মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে স্বাগত। এই রায় দেশের মানুষের বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা বাড়ল। আরও অনেক বড় দুর্নীতির উন্মোচন হতে পারে। টেট পরীক্ষা প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। যারা যোগ্য নয় তাদেরকে অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে।’