লন্ডনে বাড়ি থাকলে আমাকে ফাঁসি দিক। আদালতে দাঁড়িয়ে এই ভাষাতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া তথ্যকে চ্যালেঞ্জ করলেন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার জামিনের শুনানির জন্য ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় মানিককে। সেখানে বিচারক আদালত কক্ষ ত্যাগের পর বিস্ফোরক এই দাবি করেন মানিক।এদিন আদালতে মানিক চিৎকার করে বলতে শুরু করেন, ‘আমার অন্য জায়গায় বাড়ি থাকলে ঝুলিয়ে দিক। নদিয়াটা কি লন্ডন অধিগ্রহণ করেছে না কি? ১৯৮৯ সালে যাদবপুরে ফ্ল্যাট কিনেছিলাম। পরে বড় ফ্ল্যাট কিনি। এছাড়া নদিয়াতে পৈত্রিক বাড়ি রয়েছে। সব কথা সিবিআইকে বলেছি।’মানিকের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে যে ভাবে তাঁর বাড়িতে সিবিআই বারবার যাচ্ছে তাতে তাঁর ও তাঁর পরিবারের সম্মানহানি হচ্ছে।এদিন তাঁর ২টি বৈধ পাসপোর্ট থাকা নিয়েও মুখ খোলেন মানিক। তিনি বলেন, ‘আমার ২টো পাসপোর্ট আছে সেটা তো সরকার জানে। আমি কি কাউকে ঠকিয়েছি? জেনে শুনে কেউ আমাকে ২টো পাসপোর্ট দিলে আমি কী করতে পারি?’বলে রাখি, গত সপ্তাহে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির শুনানিতে আদালতে বিস্ফোরক তথ্য জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআইকে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘মানিক ভট্টাচার্য কতবার লন্ডন গিয়েছেন জানেন? লন্ডনে তাঁর বাড়ির ঠিকানা জানেন? আমি জানি। শুনবেন? লন্ডনে ওনার পাশের বাড়িতে কে থাকে জানেন? আমি জানি।’ বিচারপতির দেওয়া এই তথ্যে হতবাক হয়ে যান সবাই। এর পর সিবিআই জানায়, মানিক ভট্টাচার্যের ২টি বৈধ পাসপোর্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ১ জন ব্যক্তির ২টি বৈধ পাসপোর্ট থাকে কী করে?