
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রায় ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের মামলা শুনানির থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন বিচারপতি সৌমেন সেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা থেকে অব্যহতি নিয়ে মামলাটি প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে ফেরত পাঠিয়েছেন তিনি। এর ফলে সোমবার মামলাটির নির্ধারিত শুনানি হয়নি। SSC নিয়োগ দুর্নীতিতে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের পর এই মামলার দিকে নজর ছিল অনেকের। কিন্তু বিচারপতি সেন মামলাটি থেকে অব্যহতি নেওয়ায় মামলাটির শুনানি অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেল।
২০২৩ সালের মে মাসে প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। মামলা যায় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে। তবে তারই মধ্যে ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট দিয়ে মেডিক্যালে ভর্তির মামলায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে মৌখিক আবেদনের ভিত্তিতে খারিজ করেন বিচারপতি সৌমেন সেন। এর পরেই বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
নিজের এজলাসে বসে তৎকালীন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে তিনি বলেন, ‘বিচারপতি সৌমেন সেনের জন্য এই আদালত নিজের কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে ৷ বিচারপতি সৌমেন সেন ছুটি পড়ার আগের দিন বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে চেম্বারে ডেকে কিছু কথা বলেন ৷ তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে ৷ সমস্ত বিষয়টি বিচারপতি অমৃতা সিনহা, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে জানিয়েছেন ৷ এগুলির থেকে মনে হয়, বিচারপতি সৌমেন সেন বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন ৷’ এর পর কলকাতা হাইকোর্টে ২ বিচারপতির মধ্যে বেনজির টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। যার ফলে তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে ২ বিচারপতির নির্দেশেই স্থগিতাদেশ দেওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হয় প্রধান বিচারপতিকে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports