নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করে সংবাদমাধ্যমের অধিকারে হস্তক্ষেপ করছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে এমনই দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, বিধানসভা সবার জন্য নয়। শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য।
আরও পড়ুন - রাজভবনের সামনে শুভেন্দুর ধরনা কবে? তারিখ নিয়ে মতবিরোধে এখন বিশ বাঁও জলে
পড়তে থাকুন - সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর, শহরের বুকে বৈঠক হবে?
এদিন বিধানসভা চত্বরে আম্মেদকর মূর্তির পাদদেশে শপথ গ্রহণ করানোর দাবিতে ধরনায় বসেছিলেন তৃণমূলের ২ জয়ী প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহাত হোসেন। সেই খবর সংগ্রহ করতে বিধানসভায় যান সাংবাদিকরা। তবে বেশ কয়েকমাস আগে বিধানসভায় সাংবাদিকদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন স্পিকার। সাংবাদিকদের মাইক্রোফোন নিয়ে বিধানসভা চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হত না। এদিন অবশ্য সেই বাধা ছিল না। এরই মধ্যে বিধানসভা ভবনে নিজের দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন শুভেন্দুবাবু। সাংবাদিকরা তাঁকে কোনও প্রশ্ন করার আগেই তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, আজকে আপনারা বিধানসভায় ঢুকলেন কী করে? অধিবেশন চললেও তো আপনাদের মাইক্রোফোন নিয়ে বিধানসভায় ঢুকতে দেওয়া হয় না। জবাবে কয়েকজন সাংবাদিক জানান, ‘জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা ধরনায় বসেছেন তাই ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন নিয়ে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
এর পর শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘তার মানে বিধানসভা সবার জন্য নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য। ফর দ্য TMC, অফ দ্য TMC, বাই দ্য TMC. নট ফর দ্য কনস্টিটিউশন, নট অফ দ্য কনস্টিটিউশন, নট বাই দ্য কনস্টিটিউশন। একে ধিক্কার জানাই।’
আরও পড়ুন - নির্বাচিত বোর্ড না থাকা পুরসভা নিয়ে ফিরহাদকে নির্দেশ মমতার, পুরভোট কি আরও পরে!
তিনি আরও বলেন, ‘বিধানসভার অধ্যক্ষ তাঁর ক্ষমতা প্রয়োগ করে সমস্ত প্রথা ভেঙে রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে অধিবেশন শুরু করেননি। একই রকম ভাবে রাজ্যপাল তাঁর ক্ষমতা প্রয়োগ করে ২ জন জয়ী প্রার্থীকে রাজভবনে শপথ গ্রহণ করতে ডেকে পাঠিয়েছেন। মনে রাখতে হবে পৃথিবীটা গোল।’