শহরে নষ্ট হয়ে যাওয়া ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম বা ই-বর্জ্যের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। এর ফলে বাড়ছে ই-বর্জ্য জনিত দূষণের মাত্রা। এই গুরুতর সমস্যার সমাধানে কলকাতা পুরসভা আগেই আবাসন থেকে ই-বর্জ্য সংগ্রহেণ পরিকল্পনা করা করে এবার সেই পরিকল্পনা মতো অফিস পাড়া এবং শহরের বহুতল আবাসনগুলিতে ই-বর্জ্য সংগ্রহের শিবির আয়োজন করবে পুরসভা।
কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে পুরসভার। এই আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পুরসভা শহরজুড়ে ই-বর্জ্য সংগ্রহের কাজ করবে। তথ্যপ্রযুক্তি দফতর এই বর্জ্য সংগ্রহ করবে। রাজ্য সরকারের নির্ধারিত দামে এই ই-বর্জ্য কেনা হবে। তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তর বিভিন্ন রকমের ই-বর্জ্যের দাম নির্দিষ্ট করেছে, যা পুরসভা মেন চলবে।
ই-বর্জ্য সংগ্রহের পর তা তথ্যপ্রযুক্তি দফরের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ধাপে ধাপে কলকাতার প্রতিটি ওয়ার্ডে এই পরিষেবা চালু হবে। পুরসভা সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এবং বর্জ্য পৃথকীকরণের গুরুত্ব বোঝাতে ব্যাপক প্রচার করবে। কাউন্সিলারদেরও এই প্রচারে সামিল করা হবে।
আরও পড়ুন। মিটে গেল সমস্যা, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে শিলিগুড়িবাসীর দুয়ারে পৌঁছল পানীয় জল
এ বিষয়ে এক পুরকর্তা জানান, "বছরখানেক আগে ই-বর্জ্য সংগ্রহের জন্য শহরের প্রতিটি বরোয় ড্রপ বক্স বসানো হয়েছিল। তবে, যে ভাবে বর্জ্যের পরিমাণ বাড়ছে, তাতে শুধু বরোর মধ্যেই বর্জ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছে না পুরসভা। দেশের বড় শহরগুলির মধ্যে ই-বর্জ্যের পরিমাণ বাড়ার নিরিখে কলকাতা প্রথম সারিতেই রয়েছে। তাই এ নিয়ে পদক্ষেপ করা খুবই জরুরি।"
এই উদ্যোগে, অফিস পাড়া এবং আবাসনগুলিতে শিবির করা হবে যেখানে ই-বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে। পুরসভা জানিয়েছে, সাধারণ মানুষকে এই উদ্যোগের বিষয়ে অবহিত করতে এবং ই-বর্জ্য পৃথকীকরণের গুরুত্ব বোঝাতে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে।
আরও পড়ুন। ডানদিকে হৃৎপিণ্ড, সফল বাইপাস সার্জারি করে নজির গড়ল কলকাতার হাসপাতাল
এই উদ্যোগের ফলে কলকাতার ই-বর্জ্যের সমস্যা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে এবং শহরের পরিবেশ দূষণও কমানো যাবে। ই-বর্জ্য সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করলে তা থেকে বিভিন্ন মূল্যবান উপাদান পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে এবং পরিবেশ রক্ষায় তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।