সরকারি হাসপাতালে বেড দরকার। রোগী ভর্তি করতে হবে। কিন্তু তা সহজে মিলছে না। তখন এগিয়ে এল দালাল। আর সেই দালালই বাতলে দিল পথ। রোগীর বেড পেতে গেলে কত টাকা খরচ করতে হবে, সঠিক পরিচর্যার জন্য কত রেস্ত লাগবে, বাড়তি লোক দেখা করতে চাইলে, ভিজিটিং আওয়ার্সের পরেও দেখা করা যাবে। যদি পকেট থেকে নোট বের হয়। এমন সব অভিযোগ মাঝেমধ্যেই শোনা যায় সরকারি হাসপাতাল থেকে। অথচ এভাবে দালাল চক্রের হাতে টাকা দেওয়ার ঘটনা, প্রত্যেকটি সরকারি হাসপাতালে থাকা অভিযোগ জানানোর বাক্সে জমা দেন না তাঁরা। আবার অনেকের অভিযোগ ওই বাক্স খুলেও দেখা হয় না। এমনকী অভিযোগ বাক্সগুলি লোকচক্ষুর আড়ালে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। তাই অভিযোগ জমা পড়ে না।
এমন সব নানা অভিযোগ জানতে পেরেছে স্বাস্থ্য দফতর। তাই এই অভিযোগের সুরাহা করতে পদক্ষেপ করতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর। রোগী হয়রানি এবং দালাল চক্র রুখতে কড়া পদক্ষেপ করছে স্বাস্থ্য দফতর। এবার থেকে প্রত্যেকটি সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে যাতে রোগীর পরিবার এবং আত্মীয়স্বজন অভিযোগ জানাতে পারেন তার জন্য একাধিক বাক্স রাখা হবে। সেগুলি আবার নিয়মিত দেখাও হবে। কদিন আগে স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রত্যেক জেলা হাসপাতালে এমনই নির্দেশ পাঠিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: দাউ দাউ আগুনে জ্বলছে দার্জিলিংয়ের পর্যটন কেন্দ্র, বন্যপ্রাণের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, অনেক সময় চিকিৎসক, নার্স অথবা স্বাস্থ্য কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে ডিউটি না করার অভিযোগ ওঠে। সময়ের মধ্যে চিকিৎসা না করে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে যাওয়ার অভিযোগও ওঠে। আবার এই চিকিৎসকদের একাংশ সরকারি হাসপাতালে এসেও দালালদের খপ্পরে পড়ে যান। তার পর সেখান থেকে মোটা টাকা রোজগার করেন বলেও অভিযোগ। রোগী ও তাদের পরিজনদের পকেট কাটে দালালরা। এসবের জন্য রোগীর পরিবারকে হয়রানি শিকার হতে হয় এবং বদনাম হয় সরকারের।