৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে আরও একটু ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে গেল ভারত। জাতীয় ডিজিটাল মিশনের সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে উপহার দিলেন হেলথ আইডি কার্ড। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যাপারে রোগী–চিকিৎসক ও হাসপাতালের ঝক্কি কমাতেই এই ব্যবস্থা। আর দেশজুড়ে এই কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছেন কলকাতার এক চিকিৎসক। ডাঃ ইন্দ্রনীল খান।শনিবার প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে জানান, এই হেলথ কার্ড দেশের প্রত্যেক নাগরিককে দেওয়া হবে। যখনই কেউ কোনও চিকিৎসকের কাছে বা ওষুধের দোকানে, প্যাথলজিক্যাল সেন্টারে যাবেন, তখনই ওই কার্ডে সব তথ্য নথিভুক্ত করা হবে। এতে থাকবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হেলথ প্রোফাইল। যাতে তাঁর ডাক্তারের অ্যাপয়েনমেন্ট, প্রেসক্রিপশন, ওষুধের তালিকা, শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট, হাসপাতালে ভর্তি থেকে ছানা পাওয়া–সহ সমস্ত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ করা থাকবে। নির্দিষ্ট ইউজার আইডি ও আধার নম্বর দিয়ে এই তথ্যগুলি ব্যবহার করা যাবে।৩ বছর আগে প্রযুক্তিভিত্তিক এই উদ্যোগের বীজবপণ করেছিলেন বাটানগরের আদি বাসিন্দা ও ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালের কনসালট্যান্ট অনকোলজিস্ট ডাঃ ইন্দ্রনীল খান। সুষ্ঠুভাবে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে এ দেশে মানুষ যেভাবে সমস্যায় পড়ে, সেই কথা ভেবে, এই ডিজিটাল প্রোফাইল তৈরি করার পরিকল্পনা করেন তিনি। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন ইন্দ্রনীল। অবশেষে সেটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণায় অনুমোদিত হওয়ায় তিনি উচ্ছসিত।ডাঃ ইন্দ্রনীল খান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমরা চিকিৎসক। রোগীদের সুবিধা করে দেওয়াটাই আমাদের প্রধান কাজ। এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের ফলে হাসপাতালের ক্লিনিক ও চিকিৎসকদের সার্ভারের সঙ্গে রোগীদের মেডিক্যাল তথ্য সংযুক্ত থাকবে। তবে এত বড় পরিকল্পনার বাস্তবায়নটা যাতে সঠিকভাবে হয় সেটাই আসল। সেটা হলেই হল।