কেন্দ্রীয় সরকারের বিদ্যুৎমন্ত্রী সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে নানা প্রশ্ন তলব করেছিলেন। এমনকী কেন একটি বেসরকারি বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাকে সুযোগ পাইয়ে দিতে চাইছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এসবের উত্তর অবশ্য তিনি দিয়েছিলেন। এবার তিনি যে রাজ্যে কাজ করে চলেছেন তা সবার সামনে চলে এলো। বিদ্যুৎ উৎপাদনের নিরিখে দেশের মধ্যে সেরা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়েছে সাঁওতালডিহি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, প্রথম দশের মধ্যে রয়েছে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রও। এই কৃতিত্বের জন্য আজ শুভেচ্ছা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি একটি টুইট করেছেন। বৃহস্পতিবার টুইট করে তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের অধীনে থাকা সাঁওতালডিহি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চলতি বছর এপ্রিল থেকে অগস্ট মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। দেশের সেরা দশ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রও। এই কৃতিত্বের জন্য সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই।’
কেন্দ্রীয় সরকারের বিদ্যুৎ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদে বিরোধিতা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস–সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দল। তারপর থেকেই কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রীর নানা চিঠি এসেছে বাংলায়। সেখানে মমতার সরকারকে বারবার কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। এবার কাজ করে তার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বলে মনে করা হচ্ছে।
পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ব্লকে দু’নম্বর জাতীয় সড়কের উপর অবস্থিত সাঁওতালডিহি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৯৭৪ সালে উৎপাদন শুরু হয়েছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে চারটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। এখন দু’টি ইউনিট থেকে বছরে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। আবার বীরভূমের বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২০০০ সালে উৎপাদন শুরু হয়। সেখানের পাঁচটি ইউনিটের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১০৫০ মেগাওয়াট। এই সাফল্যে টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।