পোষ্য কেনাবেচার জন্য নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। কিন্তু, সেই আইনের তোয়াক্কা না করেই রাজ্যে পোষ্য কেনাবেচা চলছে। লাইসেন্স ছাড়াই যেমন পোষ্য বেচাকেনা হচ্ছে তেমনই বেআইনিভাবে প্রজনন করানো হচ্ছে। অথচ এসবের পরেও রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না। এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই অভিযোগ জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল একটি পশুপ্রেমী সংগঠন। সেই মামলাতেই উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য সরকারকে পদক্ষেপ করতে বলেছে।
আরও পড়ুন: প্রাতঃভ্রমণে বেরোতেই বৃদ্ধাকে খুবলে খেল এক ডজন কুকুর, চিকিৎসার আগেই হল মৃত্যু
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে এনিয়ে যে আইন রয়েছে তা বাস্তবায়িত করতে হবে। পশুপ্রেমী সংগঠনের অভিযোগ, ২০১৭ সালে প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যাল অ্যাক্ট বা আইন এবং পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ডগ ব্রিডিং, মার্কেটিং ও পেট রূল বা আইন চালু হয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি বা বাণিজ্যিক সংস্থা পোষ্য কেনা বেচা করলে এই আইনে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। সংগঠনের দাবি আইন অনুযায়ী, যারা পোষ্য কেনা বেচা করবেন সেই সংক্রান্ত ব্যক্তিদের নাম প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরে নথিভুক্ত করতে হবে। কিন্তু, সেই কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয় সংগঠনের তরফে।
সংগঠনের অভিযোগ, আইনের তোয়াক্কা না করে রাজ্যজুড়ে রমরমিয়ে চলছে পোষ্য বেচাকেনা। সব দেখেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মামলাকারী সংগঠনের দাবি, পোষ্য কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। তাছাড়া, কখনও কখনও ক্রেতার সামনে যেভাবে বা যে উপায়ে পোষ্যগুলিতে দেখানো হয় তা, ওই তাদের কাছে অত্যাচারের সমান।আরও অভিযোগ করা হয়েছিল, সোশ্যাল মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে যেভাবে লাইসেন্সবিহীন দোকান থেকে কুকুর বিক্রি করা হয় তা পশুর ওপর এক প্রকারের অত্যাচার।
এ অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে অবিলম্বে ২২ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরকে আবেদনকারীদের সঙ্গে বসে বৈঠক করতে হবে। সেখানে এ বিষয়ে রুপরেখা ঠিক করতে হবে। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার জন্য ক্যাম্প করতে হবে। ডিসেম্বর মাসে তা করতে হবে যাতে মানুষ এ বিষয়ে জানতে পারবেন। কতটা এই কাজ কার্যকর হল তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টকে জানাতে হবে। এ বিষয়ে আগামী ১৬ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট।