কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে জোর শোরগোল পড়ে যায়। বিজেপি সেটা নিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়ে্। এবার আজ, শুক্রবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা–অনুব্রতকে কটাক্ষ করেন।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, ‘বিহারের লোকেরাও ভেবেছিল লালুকে বীরের মর্যাদা দেবে। কিন্তু জেল থেকে বেরোলে তো দেবে। আমাকে একজন গল্প করেছিল, তার দাদু খুব সাহসী ছিল। সব জায়গায় ঢুকে যেত। একদিন বাঘের খাঁচায় ঢুকেছিল। তারপর? আর বেরোয়নি। ভাইয়ের এরকম বীরগতি হবে না তো?’ অর্থাৎ অনুব্রতকে জেলে পচেই মরতে হবে বলে মনে করছেন তিনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষের ভালবাসা নিয়েই বিরোধী শূন্য করার ডাক দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনার প্রতিক্রিয়া ঠিক কী? এই বিষয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘তার আগে যদি ওরাই শূন্য হয়ে যায়, কি হবে ভাবুন তো! যেভাবে সাংসদ–বিধায়করা পালাচ্ছে, ঘরবাড়ি ছেড়ে, কে বিরোধী শূন্য করবে? আগে নিজের ঘর সামলান। তারপর বিরোধী নিয়ে ভাববেন।’
আগের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তো গুড় বাতাসা নকুলদানা ছিল, বিরোধী শূন্য হয়ে গিয়েছিল। এবার কেমন হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন? এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘আমি দু’দিন বীরভূমে ছিলাম। গিয়ে প্রথমবার মানুষকে হাসতে দেখলাম। খোলা মনে ঘর থেকে বেরোতে দেখলাম। খুশি দেখলাম। আনন্দে দেখলাম। আগেরবার গিয়েছিলাম, চায়ের দোকানে চা–চক্র করতে দেয়নি। দোকানের ঝাঁপ ফেলে দিয়েছিল। চা বিক্রেতা পালিয়ে গিয়েছিল। এবার লোকে হেসে ডেকে চা খাওয়াল। পরিবর্তন হচ্ছে।’