কলকাতা হাইকোর্টে নারদ মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। এরইমধ্যে কেন নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম চলে এল, তা নিয়ে এবার রাজ্যের তরফে রিজয়েন্ডার দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম কেন রয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।রাজ্যের ৪ হেভিওয়েট নেতা–মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার দিন নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরের সামনে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই নারদ মামলায় নাম জড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ এই দুই জনের। তবে আগেও রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, নিজাম প্যালেসে গেটের বাইরে যে জমায়েত হয়েছিল, তাতে তাঁরা কোনওভাবেই অংশগ্রহণ করেননি। পাশাপাশি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তাঁরা কোনও বক্তব্যও রাখেনি। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে হলফনামা দিয়ে আদালতকে জানানো হয়েছিল, রাজ্য সরকার ও তার অধীনে থাকা রাজ্য পুলিশ এই মামলায় সিবিআই আধিকারিকদের সবরকম সহযোগিতা করছে। হলফনামা পেশ করার পর এবার রাজ্যের তরফে রিজয়েন্ডার পাঠানো হল আদালতকে। পাশাপাশি সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফেও রিজয়েন্ডার দেওয়া হয়েছে আদালতকে। এখন দেখার আদালত এই বিষয়ে কী অবস্থান নেয়।সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যে নারদ মামলার শুনানি পর পর চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সলিসিটর জেনারেল ব্যস্ত হয়ে পড়ায় এই মামলা শুনানি এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল জানিয়ে দিয়েছেন, এই মামলায় বেশি দেরি করা যাবে না। যদিও শুনানি প্রক্রিয়া এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।