বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলায় আছড়ে পড়তে পারে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ। নানা দোলাচলের মধ্যে এবার সবথেকে বড় উদ্বেগ শিশুদের নিয়ে। রাজ্য সরকারও গোটা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। তারই নিরিখে এবার এই ভাইরাসে কোনও শিশু আক্রান্ত হলে ও তাকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হলে তার জন্য বিশেষ ডায়েট চার্ট তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। বুধবার সরকারের তরফে একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করে রাজ্য জুড়েই শিশুদের জন্য কোভিড চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোভিড চিকিৎসার অন্যতম অঙ্গ যেহেতু উপযুক্ত খাবার সেকারণে যে সুষম আহার বর্তমানে দেওয়া হয় তাতে কিছু রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এদিকে প্রশাসন সূত্রে খবর, তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করার জন্য ইতিমধ্যেই শিশুদের জন্য প্রায় হাজার দশেক বেডের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এমনকী আগামী ৫ই অগস্ট মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি কমিটির মিটিং ডেকেছেন। প্রসঙ্গত এই কমিটির প্রধান নোবেল প্রাপক অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, দুটি ডায়েট চার্ট তৈরি করা হয়েছে। একটি ১ থেকে ৫ বছর বয়সীদের জন্য। অপরটি ৫ থেকে ১২ বছর বয়সীদের জন্য। এই মেনুতে থাকছে রুটি, ডিম, ফল, দুধ, ভাত, ডাল, সবজি, মাছ । ছোট বয়সীদের তুলনায় বড় বয়সীদের একটু বেশি ও গুণমানযুক্ত খাবার পরিবেশ দিতে হবে। মা অথবা অন্যান্য অভিভাবককেও যেহেতু অসুস্থ শিশুর সঙ্গে থাকতে হবে সেকারণে তাঁদেরও পুরোপুরি ডায়েট দেওয়া হবে। এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৩৫০টি এসএনসিইউকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। ১ হাজার ৩০০টি আইসিইউতে শিশু চিকিৎসার উপযোগী সরঞ্জাম রাখা হচ্ছে। এদিকে সিকিম সংলগ্ন কালিম্পংয়ের ৬টি এলাকাকে হাইরিস্ক জোন হিসাবে গণ্য করা হয়েছে।