সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন বিষয়ে ইন্টারনাল পরীক্ষায় মূল্যায়ন ছাড়াই অর্থাৎ খাতা না দেখেই নম্বর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পড়ুয়াদের আরও অভিযোগ, অনেককে আবার রাজনৈতিক রং দেখেই নম্বর দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ উঠেছে শুধু একটি ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষাতেই এমনটা হয়নি বছরের পর বছর ধরে একাধিক পরীক্ষাতেই এরকমভাবে খাতা না দেখে পড়ুয়াদের নম্বর দেওয়া হয়েছে। সে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন এবং বিভাগীয় প্রধানের ঘরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান যাদবপুরের ছাত্রদের একাংশ। বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে উপাচার্যের ভবনের সামনেও। এদিকে, ইতিমধ্যে এবিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে উচ্চশিক্ষা দফতরে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খাতা না দেখেই নম্বর, ফের বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
প্রথমে এই বিভাগের ২০২৩-২৫ ব্যাচের ৫০ টি খাতা না দেখে নম্বর দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পড়ুয়ারা জুলাই মাসে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এই বছরের অগস্টে ফল বেরোই। তবে নম্বর নিয়ে ক্ষোভ ছিল পড়ুয়াদের। তাই খাতা রিভিউ করা হয়। তাতেই দেখা যায় ৫০ টি খাতায় নম্বরে গরমিল রয়েছে। খাতা না দেখেই নম্বর দেওয়া হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার ফের বিক্ষোভ করেন পড়ুয়ার। পড়ুয়ারা ২০২২-২৪ ব্যাচের খাতা দেখতে চান এদিন। সেই মতো তাদের ওই ব্যাচের খাতা দেখানো হয়। তাতেও দেখা যায় উত্তরপত্রে কলমের কোনও ছোঁয়া পড়েনি অর্থাৎ খাতা না দেখেই একইভাবে তাদেরকেও নম্বর দেওয়া হয়েছে। যদিও ওই পড়ুয়ারা মার্কশিট আগেই পেয়ে গিয়েছেন। শংসাপত্রও পেয়েছেন। তবে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে এভাবেই কি বছরের পর বছর খাতা না দেখে পড়ুয়াদের নম্বর দেওয়া হয়েছে? বিষয়টি সামনে আসতেই ক্ষোভয়ে ফেটে ওঠেন পড়ুয়ারা। তাদের বক্তব্য, শুধু বিভাগীয় প্রধান পার্থসারথি চক্রবর্তীই সঠিকভাবে মূল্যায়ন করেছেন। তবে বাকি শিক্ষকরা খাতা সঠিকভাবে দেখেননি। একজন অতিথি শিক্ষক আংশিক মূল্যায়ন করেছেন।