প্রতি বছর দীপাবলিতে মাত্রাতিরিক্ত দূষণে ভরে যায় শহর কলকাতা। তবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট বলছে, এবারের দীপাবলিতে কলকাতায় দূষণ ছিল অনেকটাই কম। এমনকী শহরতলির থেকেও শহরে দূষণের মাত্রা কম ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে দূষণের বাড়বাড়ন্ত হয়নি।
তবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, '৪০ বছরের রেকর্ড ভাঙল। কালীপুজোর দিনে শেষ চার দশকের সব থেকে কম দূষণ দেখা গেল কলকাতায়। ১০০% গ্রিন বাজি প্রমোট করা, নন-রেগুলেটেড বাজি বাজার গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা, অনিয়ন্ত্রিত কেমিক্যাল মিশ্রিত বাজি ব্যান করা, তৎসহ ভীষণ শক্ত হাতে সবটা পরিচালনা এবং দিবারাত্র চোখ-কান খোলা রাখা। বড়-বড় বিপ্লবী আর ভাষণবাজদের মাঝে একমাত্র পারফর্মার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়েটা কাজ করতে জানে।'
নিষেধাজ্ঞাই সার, দিওয়ালিতে দেদার ফাটল বাজি, মঙ্গলে কালো ধোঁয়ায় ঘুম ভাঙল দিল্লির
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর দীপাবলিতে সবুজ মঞ্চের কাছে অভিযোগ এসেছে ৭৮ টি এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে অভিযোগ এসেছে ৪৪টি। গত বছর এই সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে ৭৪ এবং ৮৪ টি। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দীপাবলিতে কলকাতায় পরিমাণ ছিল অনেকটাই কম। সল্টলেকে ছিল ১৬৫ মাইক্রন, যাদবপুরে ১৯৯ এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যলয়ে ২৯০। গত বছর কালীপুজোয় কলকাতায় দূষণ পৌঁছে গিয়েছিল ২০৭ মাইক্রনে। তার আগে ৩০০ মাইক্রনও ছাড়িয়ে গিয়েছিল কলকাতার দূষণ।