করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল পশ্চিমবঙ্গ। আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই কোভিড সুনামি। এমনটাই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের ভবিষ্যদ্বাণী, সম্ভবত চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শীর্ষে পৌঁছবে সংক্রমণ।'গত পাঁচ দিনের ঊর্ধ্বগতি দেখুন। এটি স্পষ্ট যে পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই থার্ড ওয়েভ চলছে। নয়াদিল্লি ও মুম্বইয়ের মতো অন্যান্য মেট্রো শহরেও একই অবস্থা। আমাদের রাজ্যে, বিশেষ করে কলকাতায় এক ধাক্কায় ১২ গুণ পজিটিভ কেস বেড়েছে,' জানালেন বেলেঘাটা জেনারেল হাসপাতালের অধ্যক্ষ অনিমা হালদার।দেশের অন্যান্য অংশের মতো রাজ্যে ২০২০ সালের মার্চের পর প্রথম ওয়েভ এসেছিল। এরপর গত বছরের মে-জুন মাসে আরও একটি ওয়েভ এসেছিল। অনেকেই এই তৃতীয় ওয়েভের জন্য ২৫ ডিসেম্বরের হুল্লোড়কে দায়ী করছেন। কিন্তু সেটা হয় তো সম্পূর্ণ সত্যি নয়। কেন? বর্ধমান মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'এই মুহূর্তে আমরা যে সংক্রমণগুলি দেখতে পাচ্ছি, তা কিন্তু ২৫ ডিসেম্বর বা নিউ ইয়ারে ভিড়ের ফলাফল নয়। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সেই কেসগুলি আসতে শুরু করবে।' 'ডিসেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহেও খুব ভালো অবস্থানে ছিলাম আমরা। কিন্তু সাধারণ মানুষের আত্মতুষ্টির মনোভাব। সঙ্গে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গির অভাবের কারণে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে,' তিনি পিটিআই-কে বলেন। ডাঃ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় হতাশার সুর। 'পুলিশকর্মীদের সকলকে বারবার মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করতে হচ্ছে। এটা দুঃখজনক। আমার মতে, আরও কঠোর নিয়মনীতি নেওয়া হলে আমাদের এই পরিস্থিতি আসত না।'একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগের অভ্যন্তরীণ পূর্বাভাস বলছে, কঠোর পদক্ষেপ না নিলে দৈনিক সংক্রমণের হার ৩০,০০০ ছাড়াতে পারে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ডাঃ কৌশিক চাকি পিটিআই-কে বলেছেন, 'একদিকে জনগণ। অন্যদিকে প্রশাসনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মনোভাব। ফলে তৃতীয় ঢেউটি অনিবার্য ছিল।' 'ে।