কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে ফের বিমান চালানোর উদ্যোগ শুরু করল রাজ্য সরকার। কোচবিহার থেকে নিয়মিত বাণিজ্যিক যাত্রীবিমান চালাতে কী কী সুযোগ সুবিধা প্রয়োজন তা জানতে আগামী সপ্তাহে বিমানসংস্থাগুলির আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এর আগেও কোচবিহার থেকে নিয়মিত বিমান চালানোর একাধিক চেষ্টা করেছে বাম ও তৃণমূল সরকার। এমনকী বিমানের আসনপিছু ভর্তুকি দিয়েও কয়েক সপ্তাহের বেশি পরিষেবা চালু রাখতে পারেনি তারা।নবান্ন সূত্রের খবর, কোচবিহার থেকে ৮৬ আসন বিশিষ্ট ATR – 72 বিমান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে ওই বিমানের অবতরণের জন্য কোচবিহার বিমানবন্দরের রানওয়ের পরিকাঠামো উন্নয়ন করেছে এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। তার আগে সেখানে ২৪ আসনের বেশি বড় বিমান অবতরণ করতে পারত না। তবে কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে বিমান চালানো যে সহজ নয় তা এক কথায় মানছেন সবাই।এর আগে বাম সরকারের আমলে একাধিকবার কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে বিমান চালানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু কোনওবারই সফল হয়নি উদ্যোগ। কয়েক দিন চলার পরই মুখ ফিরিয়েছে বিমান সংস্থাগুলি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরও একবার কয়েক সপ্তাহ কোচবিহার থেকে বিমান চলেছিল। কিন্তু তারও একই পরিণতি হয়।বলে রাখি, গত বছর ২৭ জানুয়ারি কোচবিহার বিমানবন্দরের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে। দীর্ঘদিন কোনও নিয়মিত উড়ান না থাকায় লাইসেন্স রিনিউ করেনি অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ামক DGCA. তবে বিমানসংস্থাগুলি আগ্রহ দেখালে ফের লাইসেন্স জারি করা হতে পারে বলে খবর সূত্রের।