আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হওয়ায় বঙ্গরত্ন পুরস্কার ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন আলিপুরদুয়ারের বিশিষ্ট শিক্ষক, লেখক পরিমল দে।
আরও পড়ুন - সঞ্জয় যেন ধনঞ্জয় না হয়, আরজি করের অভিযুক্তের প্রতি সমবেদনার সুর মমতার মন্ত্রীর গলায়
পড়তে থাকুন - ‘চার বার মদ্যপানের পর ২ বার যৌনপল্লি ঘুরে এসে কারও দেহে খুন করার শক্তি থাকে?’
রবিবার আলিপুরদুয়ার প্রেস কর্নারে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য সরকার থেকে দেওয়া বঙ্গরত্ন সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করলেন আলিপুরদুয়ারের প্রবীণ শিক্ষক ও লেখক পরিমল দে। ২০১৯ সালে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে উত্তরবঙ্গ উৎসবের মঞ্চে তাঁর হাতে বঙ্গরত্ন সম্মান তুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে রাজ্য থেকে শুরু করে গোটা দেশ। দোষীদের গ্রেফতারি ও শাস্তির দাবিতে দল মত নির্বিশেষে আন্দোলন করছেন সর্বস্তরের নাগরিক। সেই ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট পরিমল দে। এদিন প্রকাশ্যে ঘোষণা করে রাজ্য সরকারের দেওয়া সম্মান ফেরত দেওয়ার ঘোষণা করেন তিনি। এমনকি পুরস্কারের সঙ্গে পাওয়া এক লক্ষ টাকাও তিনি ফেরত দেবেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন - সরকারি স্কুলের প্রশ্নপত্রে লেখা ‘la ilaha illallah’, উত্তেজনা কোচবিহারে
আরজি কর মেডিক্য়ালের ঘটনায় রাজ্য সরকারের একাধিক পদক্ষেপে উঠছে প্রশ্ন। কেন সরকারি চাকরিতে ইস্তফা দিলেও হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ডাক্তারির পড়ুয়ারাই। এছাড়া সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আগে থেকেই ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও কেন স্বাস্থ্য দফতর তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। ঘটনার পর থেকে কার্যত অন্তর্ধানে চলে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠেছে স্বতঃস্ফূর্ত গণআন্দোলন দমন করার অভিযোগ।