অস্ত্র ও মাদক পাচারে অভিযুক্ত ফেরার তৃণমূল নেতা মুজিবুর রহমানকে দেদার সার্টিফিকেট দিলেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমান। শনিবার তাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে চোপড়ার কালিকাপুর গ্রামে আক্রান্ত হন পুলিশ কর্মীরা। তার পর থেকেই গ্রামে লাগাতার চলছে তল্লাশি। তারই মধ্যে ফেরার তৃণমূল নেতাকে প্রশংসায় ভরালেন বিধায়ক।
আরও পড়ুন - ব্রাত্য বসুর গাড়ির তলায় 'চাপা পড়া' ইন্দ্রানুজের নামে ৩ FIR, অভিযোগ কী কী?
পড়তে থাকুন - 'হিন্দু ধর্মকে শেষ করতে পারবেন না,' ঔরঙ্গজেবের কথা টেনে মমতাকে আক্রমণ হিমন্তের
চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমান বলেন, ‘যাকে নিয়ে গন্ডগোল বাঁধে সেই মুজিবুর রহমান এলাকায় খুব ভালো মানুষ বলে পরিচিত। তিন বার পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিল না। কী কারণে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল তা তিনি বলতে পারব না। পুলিশ মুজিবরের বিরুদ্ধে কোনও কেস দিতে পারেনি। এখন দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) গ্রামের মহিলাদেরও চোখ খুলে দিয়েছে। যখন মজিবুর রহমানকে পুলিশ নিয়ে যাচ্ছিল সেই সময় গ্রামের কিছু মহিলারা রুখে দাঁড়ান। তারাই পুলিশের গাড়ি আটকান। তখন পুলিশ মুজিবুরকে ছেড়ে দেয়। মুজিবুরের এক তুতো ভাই সিভিক ভলান্টয়ার। তাঁর সঙ্গে মুজিবুরের রেষারেষি রয়েছে। সেজন্য পুলিশ এটা করে থাকতে পারে। মুজিবুরের সিভিক ভলেন্টিয়ারের ভাই আনিসুর রহমান বলেন, উনি অভিযুক্ত ছিলেন তাই পুলিশ ধরতে এসেছিল।
আরও পড়ুন - ‘খুব ভালো অনুভূতি হয়েছে কুম্ভে,’ খোলাখুলি আর কী জানালেন তৃণমূলের 'সনাতনী' সুজাতা
এদিকে গত কালকের ঘটনার পর চাপা আতঙ্ক কালিকাপুর গ্রামে। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত পাঁচ জনেই মহিলা। অভিযুক্তদের রবিবার ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলে পুলিশ। তবে গতকাল থেকে মূল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে চোপড়া থানার পুলিশ বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। গ্রামে প্রতি রাতে চলছে তল্লাশি। যার জেরে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে গ্রামবাসীদের।