রাস্তায় কোনও গাড়ি যদি বেরিয়ে সঠিক সময়ে কাগজপত্র দেখাতে না পারেন তাহলে জরিমানার কবলে পড়তে হয়। ট্রাফিক সিগন্যাল যেমন রাস্তায় মানতে হয় তেমন গাড়ির কাগজপত্র ঠিক রাখা জরুরি। এটা সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সেটা না হলেই ট্রাফিক পুলিশ জরিমানা করেন। ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের জরিমানা ধার্য করাটাই ট্রাফিক পুলিশের কাজ। সেখানে দেখা গেল, গাড়ির কাগজ ঠিক না থাকায় পুলিশের সরকারি গাড়িই জরিমানার কবলে পড়ল।
এই ঘটনা সামনে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মালবাজার শহরে সুভাষ মোড় এলাকায় সকাল থেকেই কর্তব্যরত ছিলেন ট্রাফিক পুলিশের অফিসার–সহ অন্যান্য কর্মীরা। তখন দেখা যায়, বিন্নাগুড়ি থেকে একটি মারুতি গাড়ি আসছে। আর তা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যাচ্ছে। সামনে একটি বড় গাড়ি থাকায় সিগন্যাল দেখতে পাননি চালক। আর তাতেই সিগন্যাল ভেঙে গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যান ওই চালক।
আরও পড়ুন: মা–ক্যান্টিনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিড়ম্বনাতে পড়েছে কলকাতা পুরসভা, ভিড় বাড়ছে কেন?
এই ঘটনা দেখেই গাড়িটিকে আটকে দেয় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ। সুভাষ মোড় সংলগ্ন এলাকায় থাকা ট্রাফিক পুলিশের কিয়স্কে বসে ছিলেন কর্তব্যরত অফিসার। গাড়িকে আটকে তখন জরিমানা ধার্য করতে গেলে সমস্যায় পড়েন ট্রাফিক পুলিশ। সিগন্যাল ভঙ্গকারী সেই মারুতি গাড়ি থেকে নেমে আসেন সেনাবাহিনীর হাসপাতালে কর্মরত রাজ মিশ্রা। তিনি জানান, সাধারণ মানুষ আইন ভঙ্গ করলে এবং গাড়ির কাগজ যদি সঠিক না থাকে তার বিরুদ্ধে জরিমানা ধার্য করার অধিকার পুলিশের আছে। সুভাষ মোড় সংলগ্ন এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের ব্যবহৃত সরকারি গাড়ির ইনসিওরেন্স আট বছর ধরে পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। ওই সরকারি গাড়িতেও জরিমানা ধার্য করতে হবে। সেটা বাদ থাকবে কেন?
এই প্রশ্নে শুনে বিড়ম্বনায় পড়েন ট্রাফিক পুলিশের কর্তব্যরত অফিসার। তখন পুলিশের ব্যবহার করা ওই সরকারি গাড়িরও জরিমানা করা হয়। কারণ আইনের উর্ধ্বে কেউই নয়। আইন সকলের জন্যই সমান। সরকারি গাড়ির কাগজের সমস্যা আছে। পরবর্তীতে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি গাড়ির ক্ষেত্রেই জরিমানা ধার্য করা হয়। সেনাবাহিনীর হাসপাতালে কর্তব্যরত ওই ব্যক্তির করা প্রতিবাদকে কুর্নিশ জানিয়েছেন ওই এলাকার বহু মানুষই। সরকারি গাড়িগুলির কাগজপত্র সঠিক সময়ে পুনর্নবীকরণ করা না হলে এমনই ঘটে।