নির্বাচনের পর থেকেই দলবদল করা হেভিওয়েটরা একে একে ফিরে এসেছেন তৃণমূলে। যেই নেতারা নির্বাচনের আগে নিজেদের দর বাড়িয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদেরই দেখা গিয়েছে 'মমতা স্তুতি' করতে। মুকুল রায়, সোনালী গুহ, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সব্যসাচী দত্ত, সুনীল মণ্ডল; একে একে সবরই 'ঘর ওয়াপসি' হয়েছে। এমনকি প্রথম থেকে বিজেপিতে থাকা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় পর্যন্ত তৃণমূলে এসেছেন। এই আবহে এবার চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তাঁর দাবি, এবার তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন খোদ শুভেন্দু অধিকারী।নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বঙ্গ বিজেপির 'পোস্টার বয়' এখন শুভেন্দু অধিকারী। দলবদলের পর নিজের নতুন দলকে জেতাতে না পারলেও হয়েছেন বিরোধী দলনেতা। এহেন শুভেন্দুই নাক ফিরতে পারেন ঘাসফুল শিবিরে। এই বিষয়ে সৌমেন মহাপাত্র বলেন, 'কিছুদিনের মধ্যে বিরোধী দলনেতার লালবাতি নিভতে চলেছে। তিনিও তৃণমূলে ভিড়তে পারেন। এখন তা শুধু সময়ের অপেক্ষা।'সৌমেন মহাপাত্রের হুঁশিয়ারি, 'নন্দীগ্রাম বিধানসভার ফল নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। সেই মামলার রায় প্রকাশ হলেই তিনি আর বিরোধী দলনেতা থাকবেন না।' পাশাপাশি বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমে ৩০ হয়ে যাবে বলেও কটাক্ষ করেন সৌমেন মহাপাত্র। নন্দীগ্রামে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগতে শোনা যায়। পেট্রোল ডিজেল, রান্নার গ্যাস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ সহ নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তত্পরতা নিয়ে সরব হতে দেখা যায় সৌমেনবাবুকে। এদিন ঘোষণা করা হয়, আগামী ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস পালিত হবে।