এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হোক চায় বিজেপি। দুর্গাপুরে বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। তারপর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আদালতের অনুমতিতে তাঁরা করতে পারবেন এই কাজ। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আওয়াজ তুলবে তাঁরা। কেন্দ্রে এখন তাঁদেরই সরকার। যদিও বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও ফলাফল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই ছিল।
কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত? একুশের নির্বাচনের পর থেকেই দেখা গিয়েছে বিজেপির সংগঠনের ভিত একেবারে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। বিধায়ক–সাংসদরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। জেলায় প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সংগঠন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার দাবিতে সরব হবে বঙ্গ–বিজেপি। কেন্দ্রের কাছেও এই দাবি জানাবে শুভেন্দু–সুকান্তরা বলে সূত্রের খবর। দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হওয়া রাজ্য বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উলটে যুক্তি দেখানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলার।
ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু? এই রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নেই। পুলিশ রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করছে। নির্বাচন কমিশন রাজ্যের কথায় চলছে বলে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। তাই আজ, শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘গত ২০ মাসে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। রাজ্যে লাভ জেহাদের মতো ঘটনা ঘটছে। শিশুরা আক্রান্ত, বোমা উদ্ধার, নারী নির্যাতন, মুসলিম মহিলাকে পুড়িয়ে মারার মতো ঘটনা ঘটছে। সরকারি কর্মসূচি থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রকে নিশানা করা থেকে প্রমাণ হয় মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজের পুলিশের ওপরেই আস্থা নেই।’