শান্তিপুরে উঠল বিধিভঙ্গের অভিযোগ। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন রাণাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এর জবাবে মহুয়া মৈত্রের সাফ জবাব, 'অশিক্ষিত বক্তব্যের উত্তর দেওয়ার কোন ইচ্ছা আমার নেই।' এদিকে দুই সাংসদের রাজননৈতিক তরজার মাঝেই নির্বাচন কমিশন সতর্ক করে দিল তৃণমূল সাংসদকে।এদিন ভোট গণনা শুরুর আগে শান্তিপুর উপনির্বাচনের গণনা কেন্দ্রে সামনে দাঁড়িয়ে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র নির্বাচন কমিশনের নিয়ম ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করেছেন। রাজ্য প্রশাসনকে ব্যবহার করে কমিশনের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কিভাবে গণনা কেন্দ্রের ভেতরের প্রবেশ করতে পারেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।জগন্নাথ সরকার বলেন, 'আমরা আশঙ্কা করছি তিনি ভিতরে গিয়ে ভোট গণনাকে প্রভাবিত করবেন।' যদিও জগন্নাথ সরকারের অভিযোগের কড়া সমালোচনা করে পাল্টা আক্রমণ শানান তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্র। তিনি বলেন, 'জগন্নাথ সরকারের আগে ১৯৬ ধরা পড়ে নেওয়া উচিত। সেখানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে যারা সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করবেন তারা ভোট গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। আমি কোনও সরকারি নিরাপত্তা নিজের কাছে রাখিবে সেই কারণেই কমিশনের বিধি মেনেই আমি ভিতরে প্রবেশ করেছি।'অবশ্য মহুয়া যাই দাবি করুন না কেন, তাঁকে রিটার্নিং অফিসার ভোট গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য সাংসদকে সতর্কও করে কমিশন।