মহম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশের স্থল বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা মোদী সরকারের। আর জারি করেছে নয়া বিজ্ঞপ্তি। রবিবার ওই নির্দেশিকার প্রভাব পড়ল পেট্রাপোলে। তবে ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরে স্বাভাবিক আছে বাণিজ্য। পেট্রাপোল বন্দর সূত্রে খবর, রোজ প্রায় ১৫টি পণ্য বোঝাই ট্রাক ওপার বাংলা থেকে ভারতে আসত। সেগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আজ, সোমবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। তাই ব্যবসার পরিবেশ ফিরে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এদিকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশি পোশাক, খাবার, নানা জিনিসপত্র আর স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবে না। প্যাকেটের পানীয়, কাঠের আসবাবপত্র এবং অন্যান্য সামগ্রী অসম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মেঘালয় এবং বাংলার চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে না। বাংলাদেশের বস্ত্র এবং সুতির থান পেট্রাপোল এবং অন্য কোনও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে আমদানি হবে না ৷ শুধু কলকাতা এবং মুম্বই বন্দর দিয়ে সেগুলি এদেশে আসবে। এই নির্দেশিকায় পেট্রাপোল বন্দরে ৩৬টি ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। এই বিষয়ে পেট্রাপোল শুল্ক দফতরের ডেপুটি কমিশনার দিব্যেন্দু দাস বলেন, ‘রেডিমেড পোশাক আমদানি বন্ধের নির্দেশিকা জারি হয়েছে। তার প্রভাব পড়ছে পেট্রাপোল বন্দরে। সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে পোশাক আমদানিতে খরচ বাড়বে এবং সময়ও বেশি লাগবে।’
আরও পড়ুন: টাস্কফোর্স মাঠে নামতেই সস্তা হল সবজির দর, বাজারে গৃহস্থ থেকে ব্যবসায়ীর মুখে হাসি
অন্যদিকে এই বন্দর দিয়ে আমদানির কাজ না হলে সরাসরি প্রভাব পড়বে পেট্রাপোল শ্রমিক মজদুর এবং ব্যবসায়ীদের উপর। একে তো বাংলাদেশের অশান্তির জেরে বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। মাসের পর মাস সেই ক্ষতি বহন করে নিয়ে যেতে হয়েছে। তার উপর এখন আমদানি বন্ধের নিষেধাজ্ঞায় নতুন করে ক্ষতি হতে চলেছে। এই নিয়ে পেট্রোপালের ব্যবসায়ী কার্তিক চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘পেট্রাপোল সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর। এখান দিয়ে বস্ত্র আমদারি–রফতানি বন্ধ হলে ব্যবসায়ীদের, যাঁরা লজিস্টিক সাপোর্ট দেন তাঁদের বিরাট ক্ষতি হবে। তবে এটা বাংলাদেশেরও বোঝা উচিত।’
এছাড়া ভারতের এই নিষিধাজ্ঞায় দেশের রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বেনাপোল বন্দরে রেডিমেড পোশাক বোঝাই ৩৬টি ট্রাক এখন দাঁড়িয়ে আছে। এই অবস্থায় সেগুলি ভারতে রফতানি না করা সম্ভব হয়নি। সুতরাং ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ব্যবসায়ীদের। এমন পরিস্থিতিতি নিয়ে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমানের কথায়, ‘ভারত স্থলবন্দর দিয়ে গার্মেন্টস সামগ্রী আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাই বেনাপোল স্থলবন্দরে ৩৬টি গার্মেন্টস বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে পড়েছে।’ এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আশঙ্কা এবং উদ্বেগে রয়েছে সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত গাড়ির চালক থেকে খালাসি ও ব্যবসায়ীরা।