ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড হাওড়ার কারখানায়। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। তবে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে কারখানার এক শ্রমিকের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয়রা মৃতদেহ আটকে রেখে কারখানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। হাওড়ার আন্দুলে আলমপুর মোড়ে আন্দুল রোডের পাশে অবস্থিত থার্মোকলের থালা বাটি তৈরির কারখানায় আজ শনিবার বিকেলে তিনটে নাগাদ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। (আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ককের বৈঠকে হাসিনাকে নিয়ে ইউনুসকে কী বলেন মোদী? বড় দাবি বাংলাদেশ সরকারের)
আরও পড়ুন: ঢোলাহাট নিয়ে সরব BJP, এরই মাঝে মোদীর গুজরাটে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত ১৭
কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। ঘটনাস্থলে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করে আগুন। যার ফলে কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় এলাকা। আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। তবে তৎপরতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। আরও জানা যাচ্ছে, ঘটনার সময় বেশ কয়েকজন শ্রমিক ভিতরে ছিলেন। বাকিরা বেরিয়ে আসতে পারলেও আকাশ হাজার নামে ওই শ্রমিক বেরিয়ে আসতে পারেননি। তাঁর গোটা শরীর আগুনে পুরো ঝলসে গিয়েছে। কার্যত চেনার উপায় নেই। জানা গিয়েছে, আকাশের তুলসিবেড়িয়ার বাসিন্দা। (আরও পড়ুন: বিতর্কের ধুলো উড়তেই তৈরি ঝাঁটা, ওয়াকফ সংশোধনীর জন্যে গড়া হচ্ছে 'স্পিডব্রেকার')
আরও পড়ুন: সরকারের সদিচ্ছার অভবেই গিয়েছে চাকরি,২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক চাকরিহারারাদের
কারখানা শ্রমিকের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই থার্মোকলের এই কারখানায় আগুন লাগে। মূলত গরমকালে থালা তৈরি করার সময় মেশিন থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে প্রচণ্ড ধোঁয়া এবং গ্যাসে ভরে যায় গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার আগুন লাগার পরেও প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই কারখানা চলছে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। ঘটনায় তাঁরা মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় স্থানীয় থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: রামনবমীতে রাজ্যজুড়ে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা, সংবেদনশীল ১০ জেলায় অতিরিক্ত বাহিনী
যদিও আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। এ বিষয়ে হাওড়া ফায়ার ডিভিশনের ওসি আর কে সাহা বলেন, ‘আমরা আগুন লাগার কারণ এখনও জানতে পারিনি। এর জন্য ফরেন্সিকের প্রয়োজন। সেটা হলে আগুন লাগার কারণ জানা যাবে। আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগে ফরেন্সিকের জন্য চিঠি দেব।’ পাশাপাশি বারবার আগুন লাগা সত্ত্বেও কীভাবে এই কারখানা চলছে? সেই প্রশ্নের উত্তরে ওসি জানান, ‘আগুন এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুরোপুরি নিভে গেলে আমরা কারখানার ভিতরে খতিয়ে দেখব। সেক্ষেত্রে কোনও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা না থাকলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’